বিশাল কান্ত, রাঁচি
গরিব মানুষের মাথায় ছাদ তৈরিতে বিরাট উদ্যোগ ঝাড়খণ্ড সরকারের। প্রায় ৮০০,০০০ গরিব মানুষের জন্য় তিনটি রুম আছে এমন পাকা ঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়খণ্ড সরকার। ঝাড়খণ্ড মন♚্ত্রিসভা তার অনুমোদন দিয়েছে।
স্কিমের নাম আবুয়া আবাস যোজনা। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে ফান্ডিং করছে। ২০২৩-২৪ অ🀅র্থ বছর থেকেই এটা শুরু হবে। পরপর তিনটি অর্থ বছরে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে।
এই স্কিমের আওতায় ৩১ বর্গ মিটার জায়গার উপর এই ঘর তৈরি হবে। এতে মোট তিনটি ঘর থাকবে। সেই সঙ্গেই একটা রান্নাঘরও থাকবে। প্রতি উপভোক্তা ২ লাখ টাকಞা করে পাবেন। প্রায় ৮০০,০০০ পরিবার এই সুবিধা পাবেন। মুখ্য়মন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এনিয়ে মিটিং করেছিলেন। তারপরই বিষয়টি জানান ক্যাবিনেট সচিব বন্দনা ডাডেল।
ক্যাবিনেট সচিবের🀅 মতে, ২০০,০০০ উপভোক্তা চলতি আর্থিক বছরে লাভবান হবেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লাভবান হবেন ৩৫০,০০০ জন ও ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে লাভবান হবেন 💮২৫০,০০০জন। ধাপে ধাপে এই কাজ করা হবে। মূলত গরিব মানুষের মাথার উপর যাতে পাকা ছাদ থাকে তারই ব্যবস্থা।
সব মিলিয়ে এই⭕ প্রকল্পের জন্য় খরচ হবে ১৬,৩২০ কোটি টাকা। তিনটি আর্থিক বছরে এগꦡুলি করা হবে।
মূলত কারা এই বাড়ি পাবেন?
সূত্রের খবর, গৃহহীন মানুষরা, যাঁদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে তারা, ༺পরিযায়ী শ্রমিকরা, যারা রাজ্য বা কেন্দ্রীয় কোনও সরকারের প্রকল্পের আওতায় পড়েন না তাঁরা এখানে সহায়তা পাবেন। এটা পুরোপুরি রাজ্য় সরকার চালাবে। এটা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পুরো বিপরীত।
আধিকারিকদের মতে, পিএম আবাস যোজনায় প্রতি উপভোক্তা ১.২ লাখ থেকে ১.৩ লাখ টাকা করে পান। কিন্তু এক্ষেত্রে ২ লাখ টাকা পাবেন তাঁরা। পিএম যোজ🦂না ২টা রুম ও একটি কিচেন। এখানে ঘরের সংখ্য়াও বেশি থাকবে। এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন হেমন্ত সোরেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার মন্ত্রিসভা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে বাংলাতেও আবাস যোজনা নিয়ে নানা বঞ্চনার অভিযোগ। সেক্ষেত্রে কেন রাজ্য সরকার 𓆏বিকল্প ব্যবস্থা সার্বিকভাবে করে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।