হরিদ্বার ধর্ম সংসদে বিতর্কিত বার্তার জল এবার গড়িয়েছ শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার উত্তরাখন্ড সরকারকে নোটিশ জারি করল আদালত। এদিকে ১৭ই ডিসেম্বর এই ধর্ম সংসদের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত সাধুসন্তদের বক্তব্যকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্জ আবেদনকারীদের, হাইকোর্টের একজন প্রাক্তন বিচারপতিকে ও একজন সাংবাদিককে এই ধরনের অনুষ্ঠান যাতে না হয় সেব্যাপারে আবেদন করার জন্য অনুমতি দিয়েছে। আগামী ২৩শে জানুয়ারি আলিগড়ে এই অনুষ্ঠান ফের হওয়ার কথা রয়েছে। দিন দশেক পরে এই মামলার ফের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণাসূচক বক্তব্য পেশ করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে আবেদনকারীর তরফে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়ছিল। সিট গঠন করে এই তদন্ত চালানোর অনুরোধ করা হয়েছিল আদালতে। তবে অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল জানিয়েছেন এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে হরিদ্বারের ধর্ম সংসদের ওই বক্তব্য ইতিমধ্যেই ঘুরছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সেখানে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে গণহত্যা করার জন্যও বলা হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্যেই উত্তরাখন্ড পুলিশ সন্ত ধর্মদাস মহারাজ, সন্ন্যাসিনী অন্নপূর্ণা, ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র ত্যাগী সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। পরে সেই এফআঅআরে যতি নরসিংহনন্দ ও সাগর সিন্ধু মহারাজের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।