স্বাধীনতা দিবসে রবীন্দ্রনাথের ‘জনগণমন-অধিনায়ক’ গানটির ইংরেজি তর্জমা ফেসবুকে পোস্ট করল নোবেল পুরস্কার কমিটি। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান রবীন্দ্রনাথ। সেই নোবেল কমিটিই ভারত♎েথ স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ পোস্ট নিয়ে হাজির হল। স্বাধীনতা দিবসে দেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে পোস্ট করে নোবেল কমিটি। গানটির ইংরেজি তর্জমা করে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ নিজেই। তাঁর হস্তাক্ষরে লেখা সেই তর্জমার ছবি পোস্ট করে নোবেল কর্তৃপক্ষ।
(আরও পড়ুন: অলীক রবারের ঘষায় মুছে যায় শৈশব, আসে কৈশোর! ﷺস্বাধীনতার অন্য স্মৃত⛄ি পবিত্র সরকারের)
প্রসঙ্গত, ১৯১৩ সালের ১৩ নভেম্বর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান র🦂বীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনিই এই পুরস্ক🀅ার পান। তাঁর লেখা 'গীতাঞ্জলি' কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি তর্জমা 'সংস অফারিংস'এর জন্য এই পুরস্কার পান তিনি। সেই প্রথম কোনও অ-ইউরোপীয় হিসেবে তিনিই প্রথম নোবেল প্রাপক ছিলেন।
(আরও পড়ুন: ‘ౠসুভাষ থাকলি এসব হত না’, ইছামতীর জলেꦦ আজও অন্য স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেন মৎস্যজীবী সন্তোষ)
মোট ১৫৭ টি গীতিকবিতা নিয়ে সংকলিত 'গীতাঞ্জলি' প্রকাশের পর সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। ১৯১০ সালে গীতাঞ্জলি প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাক꧋ুর নিজেই গীতাঞ্জলির কবিতা ও গানগুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করার কাজ শুরু করেছিলেন। মূলꦫ বাংলা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ৫৩টি গান সং অফারিংস সংকলনে প্রকাশিত হয়। সেই বইটিই নোবেল পুরস্কার জিতে নেয়।
তবে এই পুরস্কার নিয়ে আরেকটি কালো অধ্যায়ও রয়েছে। ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ, এই দিনটি বাংলা ও বাঙালির কাছে একটি কালো দিন হিসেবে পরিচিত। এই দিন সকালে জানা যায়, বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহশালা থেকে নোবেল পদক চুরি গিয়ে💙ছে। পরবর🍒্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বহু তদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু সে পদক কে চুরি করেছে তার কিনারা করা যায়নি।
এইদিন রবীন্দ্রনাথের গানের ইংরেজি তর্জমা ফেসবুক পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ইংরেজি প্রসঙ্গত, গানটির শুধু মাত্র প্রথম স্তবকটিই গাওয়া হয়। এর পরেও রয়েছে আরও চারটি স্তবক। সেই স্তবকগুলির অনুবাদও রয়েছে ওই কাগজটিতে। পুরোপুরি ইংরেজিতে লেখা ওই কাগজে রবীন্দ্রনাথের হস্তাক্ষরও চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতোই। গানটিকে ভারতের প্রভাতী সংগীত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইং❀রেজিতে লেখা হয়েছে দি মর্নিং সং আব ইন্ডিয়া। সকাল নটা-দশটা নাগাদ এই পোস্টটি করা হয়েছে নোবেল পুরস্কার কমিটির অফিসিয়াল পেজে। তার পর থেকেই বিপুল মাত্রায় শেয়ার ও লাইক পেয়েছি পোস্টটি। এমনকী কমেন্ট সেকশনেও দেশের নাগরিকরা এই পোস্ট করার জন্য নোবেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।