গুয়াহাটি বিমানবন্দরে শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য প্রার্থনা কক্ষ ক🎉েন? এই প্রশ্ন তুলে আজ, শুক্রবার গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবীকে ধুয়ে দিলেন। যিনি এই পৃথক প্রার্থনা কক্ষের পক্ষে সওয়াল করছিলেন। এখানে প্রার্থনা কক্ষ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। আর তাতেই কড়া পর্যবেক্ষণ করেন গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এবং সুস্মিতা ফুকান খাউর। এদিনই মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, পৃথক প্রার্থনা কক্ষ করে মানুষের কোন ক্ষতিটা আটকানো যাচ্ছে?
এদিন পর পর প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান আইনজীবী। এই পৃথক প্রার্থনা কক্ষ তৈরি না করলে মৌলিক অধিকার কি ক্ষুন্ন হতো? এমন প্রশ্নও করেন বিচারপতিরা। গুয়াহাটি বিমানবন্দরে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনের জন্য পৃথক প্রার্থনা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে বিমান দেরিতে থাকলে এখানে এসে তাঁরা প্রার্থনা করতে পারবেন। এবার প্রার্থনা কক্ষ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন এক জনৈক আইনজীবী। তার ভিত্তিতেই এদিন চল🐎ে জোর শুনানি। সেখানেই বিমানবন্দরে প্রার্থনা কক্ষের পক্ষের আইনজীবিকে ধুয়ে দেন বিচারপতিরা।
ঠিক কী বলেছেন প্রধান বিচারপতি? শুধুমাত্র একটা ধর্মের মানুষজনের জন্য পৃথক প্রার্থনা কক্ষ করা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়। তখন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এই বিষয়ে মৌলিক অধিকার কী আছে? আমাদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। তাহলে কেন একটা🅠 সম্প্রদায়ের জন্য প্রার্থনা কক্ষ? এই প্রার্থনা কক্ষ তৈরি করে মানুষের কোন ক্ষতিটা আটকানো যাচ্ছে? আমরা একটা সম্প্রদায়ের মানুষ নই। এটার জন্য তো বাইরেও জায়গা রয়েছে। যাঁরা মনে করবেন তাঁরা সেখানে গিয়ে প্রার্থনা সেরে আসতে পারেন।’ তখন পাল্টা যুক্তি দিয়ে আইনজীবী সওয়াল করেন, কিছু বিমান ছাড়ে প্রার্থনার সময়ই। তাই এই বিকল্প ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: নানুর তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় থেকে ভ্যানিশ অনুব্🐎রত, কাজল জমানায় ব্রাত্য কেষ্ট!
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই শুনে বেজায় চটে যান বিচারপতিরা। তখন তাঁরা পাল্টা বলেন, ‘তাহলে আপনারা সঠিক সময়ের বিমান বেছে নিন। সেটা আপনার ব্যাপার, তবে এটা করলেই প্রার্থনা শেষ করা যাবে। বিমানবন্দর আপনাকে একটা পছন্দ করে দিতেই পারে, কিন্তু দুঃখিত আমরা এতে সন্তুষ্ট হলাম না। কী করে একটা সম্প্রদায়কে𝓰 এই স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়া যেতে পারে?’ তখন আইনজীবী জানান, বিমানবন্দর তো নানা বাণিজ্যিক কাজ করে থাকে। সেটা তো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়মে আছে। কিন্তু প্রার্থনার ক্ষেত্রে নেই। এই শুনে বিচারপতিরা বলেন, ‘তাহলে কি এটা বাণিজ্যেক কার্যকলাপ, যা তাঁরা করছেন। প্রার্থনা তো বাণিজ্যিক কার্যকলাপ হতে পারে না। এটা তো ধর্মীয় আবেগ।’ তখন আইনজীবী প্রশ্ন করেন, কেন গুয়াহাটি বিমানবন্দরে প্রার্থনা কক্ষ থাকবে না? যখন নয়াদিল্লি, তিরুঅনন্তপুরুম এবং আগরতলা করেছে। জবাবে প্রধান বিচারপতি পাল্টা ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘কিন্তু তার মানে এটা মৌলিক অধিকার হয়ে যায়নি। আর সেটা না করলে মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয় না। কোথায় এমন অধিকার দেওয়া আছে নাগরিককে? আপনাদের প্রার্থনার জায়গা আছে, সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করুন।’ দু’সপ্তাহ পরে আবার শুনানি হবে।