২০১৭ সালের অর্থনৈতিক বিক্ষোভে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে সাংবাদিক রুহোল্লাহ জামের (৪৭) প্রাণদণ্ড কার্যকর করল ইরান। ফাঁদ পেতে তাঁকে ইরাক থেকে অপহরণ করেছিল ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা।আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার চাপে থাকা ইরান সরকারের অন্যতম তীব্র সমালোচক রুহোল্লাহ জামের মৃত্যুতে বাক-স্বাধীনতা হরণ করার অভিযোগে তেহরানের সমালোচনায় সরব হয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম। অপহরণ করার আগে তিনি প্যারিসে বসবাস করছিলেন। মনে করা হচ্ছে, জামকে অপহরণ ও ফাঁসি দেওয়ার ফলে ইউরোপজুড়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার পথে আরও এক কদম এগোল তেহরান। এ ছাড়া ট্রাম্প জমানার অন্তিম লগ্নে ফ্রান্স-সহ ইউরোহীয় রাষ্ট্রগুলির উপরে পরমাণু নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করতেও জামের মৃত্যু প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে ইরান।ইরানি সাংবাদিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বাক-স্বাধীনতার বিরুদ্ধে মারাত্মক আঘাত, জানিয়েছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সদস্য ডায়ানা এলটাহাউই। প্রতচিবাদ রোধ করতে নিষ্ঠুর পদক্ষেপ করে ভীতি ছড়াতে চাইছে তেহরান, বলছেন তিনি। ইরানি টেলিভিশনে জামকে আগাগোড়া ‘দাঙ্গার নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। গত জুন মাসে তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে ইরানের আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে ‘বিশ্বের দুর্নীতি’র অভিযোগ আনা হয়েছিল, যা সাধারণত ইরানের সরকারকে গদিছাড়া করা অথবা ইরানের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির মতো অভিযোগের শামিল।