এবার গাজায় বৃহৎ এলাকা দখলের জন্য আক্রমণের তেজ বাড়াবে ইজরায়েলি সেনা। এমনই ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ। ২ মাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হতেই গাজায় পুরোদমে আক্রমণ শুরু করেছে ইজরায়েল সেনা। জানা গিয়েছে, গাজার একটা বড় অংশে সেনা পাঠিয়েছে ইজরায়েল। গাজার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছে তারা। (আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্ཧপত্তি রয়েছে ভারতে,তাও দেশের মুসলি🌊মরা গরিব কেন?’)
এই আবহে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে নাগরিকদের স্থানান্তরিত করা হবে। যুদ্ধ সমাপ্তির একমাত্র উপায় হল হামাসকে নির্মূল করা।পাশাপাশি পণবন্দিদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গাজার জনগণের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।তবে ইজরায়েল গাজার কতটা ভূখণ্ড দখল করতে চায়, তা স্পষ্ট করেননি প্রতিরক্ষা মন্ত্রীꦰ।মঙ্গলবারও গাজায় ইজরায়েলের হামলায় ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৮৩ জন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েল হামলায় আহত ১৮৩ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৮৩ জনে পৌঁছেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ব🔯াংলাদেশি উগ্রপন্থা নিয়ে বড় দꦛাবি ভারত ভাগ করতে চাওয়া উপদেষ্টার- হার্ডলাইনে যাব…
অন্যদিকে, গাজার সার্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত ‘সব পক্ষ’♚ যুদ্ধবিষয়ক আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপ🃏াত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘এ মুহূর্তে গাজায় যা কিছু ঘটছে, সেই সব কিছুর জন্যই হামাস দায়ী।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের সমর্থনꦓে পথে মুসলিম মহিলারা, উঠল 'মোদী জিন্দাবাদ' স্লোগান
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইজরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করে ইজরায়েল। কথা ছিল, এই যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে বন্দি নাগরিকদের মুক্তি দেবে হামাস। সেই মতো বহু পণবন্দিকে মুক্তিও দেওয়া হয়। তারপর প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল। তবে ইজরায়েলের অভিযোগ সকল পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় মার্কিন প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস। তাই সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ ফুরাতেই ফের বিধ্বংসী আক্রমণের পথে হাঁটছে বেঞ্জামিন নেতানিꩵয়াহুর দেশ।