কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলছেন 'দেশ কা গদ্দারো কো', জনতা বলছে 'গোলি মারো সালো কো'। অর্থাত্ দেশের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করবে যারা, তাদের গুলি করে মারো। এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল খাস দেশের রাজধানী। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের এই স্লোগান ও জনতার উত্তরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই চাঞ্চল্য সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাহলে কী আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার সওয়াল করছেন অনুরাগ ঠাকুর, এই প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা ও বিরোধী রাজনৈতিক দলরা। সভায় ঠিক কী বলা হয়েছিল, সেই নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল দিল্লির নির্বাচন কমিশনের সিইও অফিস। রিপোর্টের ভিত্তিতে অনুরাগ ঠাকুরকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন। ৩০ তারিখের বেলা ১২টা অবধি সময় আছে অনুরাগ ঠাকুরের কাছে উত্তর দেওয়ার জন্য। অনুরাগের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। মুখপাত্র শর্মিষ্ঠা মুখার্জী জানিয়েছেন অর্থনীতির অবস্থা করুণ, বেকারত্ব রেকর্ড হার, কিছু দেখানোর নেই বলে মোদী সরকার মেরুকরণের রাজনীতিতে মেতেছে। সিএএ বিরোধী প্রতিবাদীদের গুলি করে মারা উচিত বলে রিঠালায় নির্বাচনী সভায় মন্তব্য করেন অনুরাগ ঠাকুর। অনুরাগের মতে শাহিন বাগ সহ অন্যান্য বিক্ষোভস্থলে ভারত বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে।এর পরেই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন অনুরাগ ঠাকুর। প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে শর্মিষ্ঠা বলেন যে অনুরাগ তাঁর সিনিয়রদের থেকে শিক্ষা নিয়েছেন যারা পোশাক দেখে প্রতিবাদীদের চিহ্নিত করতে পারে।দিল্লির চিফ ইলেকশন অফিসার রিঠালা বিধানসভার রিটার্নিং অফিসারর থেকে এই সভা সম্পর্কে বিষদে রিপোর্ট তলব করেছিলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহেব সিং ভার্মার ছেলে পরবেশ ভার্মার বক্তব্যের বিষয়েও রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল ইসি। রিপোর্টের ভিত্তিতে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে অনুরাগ ঠাকুরকে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৩০ তারিখ দুপুর ১২টা অবধি সময় আছে অনুরাগের কাছে। ডিসেম্বর ২৭ তারিখের সভায় এই কথা বলেছিলেন অনুরাগ ঠাকুর বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে আট ফেব্রুয়ারি ভারত-পাক ম্যাচ ও শাহিন বাগে পাকিস্তানিদের আখড়া বলে বিপাকে পড়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র। তাঁর টুইট মুছতে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। দুই দিনের জন্য তাঁকে প্রচার করার থেকেও বিরত করে কমিশন।