লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহার প্রায় সম্পন্ন। আর এই আবহে ভারত ও চিন, দুই দেশের সেনাই যৌথ ভাবে সেখানে 'যাচাই পর্ব' চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে যেখানে যার অবস্থান ছিল, প্রায় সেখানেই ফিরে গিয়েছে ভারত ও চিনা সেনার জওয়ানরা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যে সব অস্থায়ী তাঁবু খাটানো হয়েছিল, তা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই আবহে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া দুই পক্ষের তরফ থেকই সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতেই দুই দেশের সেনা যৌথ ভাবে সেই এলাকায় 'ভেরিফিকেশন' করছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে জওয়ানদের পাঠানোর পাশাপাশি এই ভেরিফিকেশনে ড্রোনেরও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: খলিস্তানি জঙ্গি হত্যার ছকের জেরে কি ভারত🔥ীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে USA?)
আরও পড়ুন: 'আমি বলেছিলাম যে শাহ জড়িত', খলিস্তানি ইস্যুতে কানাডার মন্๊ত্রীর বিস্ফোরক বয়ান
উল্লেখ্য, এর আগে শেষবার ২০২২ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে গোগরা হট স্প্রিং এলাকার প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছিল দুই দেশ। এরপর থেকে অবশ্য ভারত-চিন আলোচনা একপ্রকার থমকেই গিয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ঘোষণা করে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতের টহলের অধিকার মেনে নিয়েছে চিন। এই আবহে প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কেটেছে। এর আগে ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পশ্চিম দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত এলাকায় 'বটলনেক' অঞ্চলে টহলদারির ক্ষেত্রে ভারতকে আর বাধা দেবে না চিন। (আরও পড়ুন: 'উলটোপ🌺ালটা সময়ে' নয়, বয়ান রেকর্ড করুন অফিস টাইমেই, অফিসারদের নির্দেশ ইไডির)
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেই। রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ডেমচকে এর আগে চিন তাঁবু খাটিয়ে বসেছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় দিকে। তবে সেই সমস্যা কিছু দিন আগেই মিটেছে। তবে এরই মধ্যে ডেপস্যাঙের সমস্যারও সম💖াধাম সূত্র বেরিয়ে আসে সামরিক পর্যায়ের আলোচনায়। উল্লেখ্য, এই ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়েছে চিনা সেনা। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগের অবস্থাতেই ফিরছে ডেপস্যাং এবং ডেমচক। এই আবহে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। এর ফলে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের চিড় কিছুটা মিটতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর স্পষ্ট করে দিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সরানো এবং টহলদারি নিয়ে নয়াদিল্লি এবং বেজিং যে ঐক্যমতে পৌঁছেছে, সেটার মানেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে, তা একদমই নয়।