কাম্বোডিয়ায় একটি বাড়𝓡িতে সিংহ রাখা নিয়ে তুꦑমুল হইচই। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন, সিংহ রাখতে পারবেন মালিক।
কুকুর, বেড়াল বা পাখি নয়, তার শখ সিংহ। সরকার সেই সিংহ নিয়ে গেছে বলে গোঁসা হয়েছিল তার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী হস্꧅তক্ষেপ করে সিংহ মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আশ্চর্য এই ঘটনা ঘটেছে কাম্বোডিয়ায়।
সম্প্রতি টিকটকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দেখা যায়, কাম্বোডিয়ার রাজধানী নম পেনের এক বিলাসবহুল বাড়িতে সিংহের সঙ্গে খেলা করছেন এক ব্যক্তি। ভিডিওটি দেখে ভয় পেয়ে যান ওই বাড়ির প্রতিবেশীরা। তারা খবর দেন প্রশাসনকে। প্রশাসন এসে চীনা নাগরিক কি শিয়াওয়ের ꦺবাড়ি থেকে সিংহটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। প্রশাসন জানায়, সিংহটি বিদেশ থেকে অবৈধ ভাবে নিয়ে আসা হয়েছে। তার বয়স ১৮ মাস। ওজন ৭০ কেজি। চোয়ালের হার ভাঙা। গত ২৭ জুন ওই বাড়ি থেকে সিংহটিকে উদ্ধার করা হয়।
প্রশাসন মালিককে জানিয়ে দেয়, কাম্বোডিয়ায় বাড়িতে বাঘ-সিংহের মতো বন্য প্রাণী রাখা সম্পূর্ণ বেআইনি। সে কারণেই তার কাছ থেকে ওই সিংহটিকে বাজেয়াপ্ত করা হলো। কিন্তু প্রশাসনের এই কাজের পর ভেঙে পড়েন সিংহের মালিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যায়, কী ভাবে সিংহটিকে খাওয়াতেন তিনি। ওই দৃশ্য দেখে রাস্তায় নেমে পড়ে একাধিক পশুপ্রেমী সংস্থা। তারা সরকারের কাছে আবেদন জানায়, সিংহটিকে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। শেষ পর্যন্ত কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি সি༺ংহটিকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুমতি দেন। কিন্তু মালিককে বলা হয়েছে, সিংহটির জন্য একটি ভালো খাঁচা বানাতে হবে। যাতে তার বাড়ির লোক এবং এলাকার মানুষ সুরক্ষিত থাকেন।
ঘটনায় বেশ কিছু পশুপ্রেমী সংগঠন খুশি হলেও দুশ্চিন্তাও প্রকাশ করেছেন অনেকে। কাম্বোডিয়ায় কর্মরত যুক্তরাজ্যের দূত টিনা রেডশ টুইটে🌳 লিখেছেন, ''এর ফলে বেআইনি পশু চালানকেই মান্যতা দেওয়া হলো। যারা এ ধরনের ♈কাজ করে তাদের সুযোগ দেওয়া হলো। এর ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়টিকে উপেক্ষা করা হলো।''
শুধু টিনা নন, অনেকেই এ কথা বলেছেন। আইনকে উপেক্ষা করে কেন প্রধানমন্ত্রী সিংহটি মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন, তা নিয়ে অনেকেই সরব হয়েছেন। বন্যপ্রাণী বাঁচানো এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়টি ফের সামনে চলে এসেছে। এর আগে থাইল্যান্ডের মন্দির থেকে বহু বাঘ উদ্ধার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, কীভাবে ওই বা🎀ঘেদের উপর অত্যাচার হতো মন্দিরে। সে ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। কম্বোডিয়াতেও সেই একই পথ অনুসরণ করা উচিত ছিল বলে মনে করছেন অনেকে।