তার প্রেমিকাকে মেসেজ করত বন্ধু। আর এর থেকেই সূত্রপাত ত্রিকোণ প্রেমের। এই আবহে নিজের বন্ধুকে নশংস ভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। মৃত বন্ধুর মাথা কেটে আলাদা করে দেয় অভিযুক্ত। মৃত বন্ধুর দেহ থেকে হৃৎপিণ্ড কেটে বের করে নেয় সে। পাশাপাশি বন্ধুর যৌনাঙ্গও কেটে নেয় অভিযুক্ত। ঘটনাটি হায়দরাবাদের। নিহতের নাম নবীন। অভিযুক্তর নাম হরিহরকৃষ্ণ। জানা গিয়েছে, নবীন ও হরিহরকৃষ্ণ দু'জনেই দিলখুশনগরের একটি কলেজে পড়ত একসময়ে। তাদের সঙ্গে সেই কলেজেই পড়াশোনা করত এক তরুণী। সেই তরুণীর সঙ্গে প্রথমে নবীনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে অবশ্য তা ভেঙে যায়। এরপর হরিহরকৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় সেই তরুণী। (আরও পড়ুন: 'মন🐽ে হচ্ছে মোদীজি পাকিস্তানকে সাহায্য করবেন', দাবি প্রাক্তন 'র' প্রধানের)
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন বান্ধবীকে প্রায়সয়ই মেসেজ করত নবীন। ফোনও করত। আর তা মেনে নিতে পারেনি হরিহরকৃষ্ণ। এই আবহে হায়দরাবাদের আবদুল্লাপুরমেটে নৃশংস ভাবে নবীনকে খুন করে হরিহর। খুনের পর নবীনের দেহাংশের সঙ্গে সেলফিও তোলে হরিহর। নবীন নাগারকুরনুল জেলার 𝄹বাসিন্দা। মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ে বি-টেকের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র সে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই সে থাকত। এদিকে হরিবরকৃষ্ণ ছিল ওয়ারাঙ্গল জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে হায়দরাবাদের অরোরা কলেজে বিটেক পড়ছিল। দিলসুখনগরের আইডিয়াল কলেজে ইন্টার পড়াকালীন দু'জনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়েไছিল বলে জানা গিয়েছে।
দু'বছর আগে নবীন ও তাঁর প্রেমিকার মধ্যে ঝামেলা হয়। সম্পর্কে ইতি টানে দু'জনে। এরপর হরিহরকৃষ্ণ মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। দু'জনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে এরই মাঝে সে জানতে পারে নবীনের সঙ্গে তরুণীর কথা হয়। এরপৎই সন্দেহের বশে বন্ধু নবীনকে খুনের পরিকল্পনা করে হরিহর। পুলিশের অনুমান, দু'মাসের কিছু সময় আগে হায়দরাবাদ থেকে একটি ছুরি কেনে হরিহর। এরপর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বন্ধুদের পার্টির নাম করে নবীনকে সে ডাকে। দুই বন্ধু শহরের এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়। এরপর নবীন হস্টেলে ফিরতে চাইলে হরিহর বলে সে বাইকে তাকে ছেড়ে আসছে। পথে মদ কেনে হরিহর। দু'জনে মদ খায়। পরে প্রেমিকার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে হরিহর। এরপরই নবীনকে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে সে। এরপর দেহ টুকরো টুকরো করে হরিহর। নবীনের মাথা, আঙুল, হৃৎপিণ্ড, যৌনাঙ্গ সব কেটে ফেলে হরিꦏহর। এই সবের মাঝেই নবীনের হস্টেলের বন্ধুরা সেই তুরণীর থেকে হরিহরের নম্বর পেয়ে তাকে ফোন করে। সে বলে যে নবীনকে সে আবদুল্লাপুরমেটে ছেড়ে দিয়ে এসেছে। এদিকে বেশ কয়েকদিন হয়ে যাওয়ার পরও নবীনের কোনও খোঁজ না পাওয়া গেলে তার পরিবারের লোকজন 𒊎থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নামে পুলিশ। পরে গত শুক্রবার থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে হরিহর। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে পেড্ডামবেরপেটে নবীনের দেহের অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।