রা🃏জ্যপাল নির্দেশ দিয়েছেন, সোমবারই আস্থাভোট করতে হবে। কিন্তু আজই আস্থা ভোট হবে কিনা, তা এখনও খোলসা করে বলেননি বিধানসভার স্পিকার। ফলে তৈরি হꦬয়েছে জটিলতা।
আরও পড়ুন : মধ্যপ্রদেশ সংকট: বাঁচবে কি কমল নাথের গদি? উত্তর মিলবে সোমব🐻ারের আস্থা ভোটে
রবিবার রাতে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার যে কার্যসূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে আস্থা ভোটের উল্লেখ নেই। তালিকায় শুধুমাত্র রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের ভাষণ ও ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবের উল্লেখ রয়েছে। বিধানসভার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এপি সিং জানান, আস্থা ভোট বা অনাস্থা ভোট নিয়ে বিধানসভায় আপাতত কিছু জমা পড়েনি। তবে নিয়ম অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট দিনে বিধানসভায় অধিবেশন শুরুর এক ঘণ্টা🧸 আগেও এরকম নোটিশ দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন : মধ্যপ্রদেশ সংকট: 'আমাদের꧂ কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যা আছে', দ𓄧াবি টলমল কংগ্রেসের
এর আগে, স্পিকার এনপি প্রজাপতি জানিয়েছিলেন, আস্থা ভোট নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। বিজেপির আশঙ্কা, করোনাভাইরাসের দোহাই দিয়ে আস্থা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ছক কষছে কমল নাথ সরকার। রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তরুণ ভানোটের কথাতেও সেই আভাস মিলেছে। তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলিতেই মূলত এতদিন বিধায়করা ছিলেন। ফলে তাঁরা যে করোনায় আক্রান্ত হননি, তা পরীক্ষা 𓂃করে দেখা হতে পারে।
আরও পড়ুন : মধ্যপ্রদেশ সংকট- ইস্তফার হিড়িক, জ্যোতিরাদিত💫্যের প⛄র কংগ্রেস ছাড়লেন ২২ বিধায়ক
এই পরিস্থিতিতে কোন পক্ষ কী তাস খেলবে, কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে - তা নিয়ে রবিরার সারাদিন একের পর এক বৈঠক হয় ভোপালে। পরে বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে বিজেপির নেতারা আর্জি জানান, বিধানসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিংয়ের ব্যবস্থা নেই। তাই হাত তুলে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। সেইমতো মুখ꧑্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে হাত তুলে ভোটের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। যদি♕ও শনিবারের চিঠিতে ঠিক উলটো নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কড়া নির্দেশ ছিল, পুরো ভোট প্রক্রিয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেমে করতে হবে।
আরও পড়ুন : ছত্ত♌িশগড়েও জ্যোতিরাদিত্যরা রয়েছেন, বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে শুরু জল্পনা
এদিকে, রাতের দিকে রౠাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন কমল নাথও। রাজভবনে সাক্ষাতের পর কমল বলেন, 'সুষ্ঠুভাবে বিধানসভার কাজ চালানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য রাজ্যপাল আমায় ডেকেছিলেন। আমি জানিয়েছি, সোমবার স্পিকারের সঙ্গে কথা বলব। ফ্লোর টেস্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। তবে রাজ্যপালকে বলেছি, আমি ফ্লোর টেস্টের জন্য তৈরি। যে বিধায়কদের আটকে রাখা হয়েছে, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হোক।'
আরও পড়ুন : Coronavirus crisis: পালাননি, বিমানবন♎্দর থেকেই দিল্লি উড়ে যান গুগলকর্মীর স🧔্ত্রী
তাই আপাতত মধ্যপ্রদেশের জল কোনদিকে গড়ায়, তা দেখতে স্পিকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস ও বিজেপি। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্যপালের নির্দেশ মানতে বাধ্য স্পিকার। তবে বিধানসভার এক প্রাক্তন আমলা জানান, রাজ্যপাল নির্দেশ দিলেও বিধানসভার কার্যসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে স্পিকারের। আর স্পিকার যদি আস্থা ভোটে অনুমতি না দেন, সেক্ষেত্রে আইনি লড়াইয়ের প🐽থে হাঁটার খবরও উড়িয়ে দেয়নি বিজেপি।