জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ধাক্কায় টলꦰমল মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার। এখ🐲নই ফ্লোর টেস্ট হলে কংগ্রেসের পক্ষে সরকার টিকিয়ে রাখাই দায় বলে মত রাজনৈতিক মহলের। যদিও কংগ্রেসের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যা আছে।
আরও পড়ুন : মধ্ꩲযপ্রদেশ সংকট- ইস্তফার হিড়িক, জ্যোতিরাদিত্যের পর কংগ্র▨েস ছাড়লেন ২২ বিধায়ক
আদৌও কি তাই? কী বলছে অঙ্ক? ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধ♚ানসভায় দু'জন বিধায়কের মৃত্যুর ফলে আপাতত সংখ্যাটা ২২৮। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ১১৪ জন বিধায়ক। কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়েছিলেন চার নির্দল, দুই বসপা ও এক সপা বিধায়ক। ফলে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের সরকারের পক্ষে রয়েছেন ১২১ জন বিধায়ক। অন্যদিকে, বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৭ জন বিধায়ক। কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়কের ইস্তফা যদি গৃহীত হয়, সেক্ষেত✱্রে মোট বিধায়কের সংখ্যা ২০৬-এ নেমে আসবে। সেক্ষেত্রে ফ্লোর টেস্টে বাজিমাত করবে বিজেপি।
আরও পড়ুন : মধ্যপ্রদেশ সংকট: জ্যোতিরাদিত্যকে বহিষ্কার কংগ্রꦑেসের,💎 রাজ্যসভার টিকিট দেবে বিজেপি
যদিও কমল নাথের দাবি, তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যা রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার পাশাপাশি পাঁচ পছরের মেয়াদও পূর্ণ করবে তাঁর সরকার। কংগ্রেসের একাধিক বর্ষীয়ান নেতাও একই দাবি করেছেন। কমল নাথ সরকারের মন্ত্রী পিসি শর্মা জানিয়েছেন, যে বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর যোগাযোগ রয়েছে। শর্মাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই বলে, 'রাজ্যসভা ভোটে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রার্থীপদ সমর্থনের কথা বলে ▨তাঁদের রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।' তাঁর আরও দাবি, 'আমাদের কাছে সংখ্যা রয়েছে। বিধানসভায় ফ্লোর টেস্টের সময় আমরা তা প্রমাণ করব।'
আরও পড়ুন : মধ্যপ্রদেশ সংকট : সিন𝐆্ধিয়াকে নিন্দা গেহলটের, এব♐ার জল্পনায় রাজস্থান
এরইমধ্যে মঙ্গলবার ভোপালে কংগ্রেসের বৈঠকে প্রায় ১০০ জন বিধায়ক যোগ দেন। ছিলেন চার নির্দল বিধায়ক। এক মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, বিধায়করা কমল নাথের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন। যদিও দুই বসপা ও এক সপা বিধায়ক সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন না। ওই মন্ত্রীর কথায়, 'সাহসী লড়াইয়ের বিষয়ে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। আমাদের সরকারের কোনও সংকট নেই। যদি পরিস্থিতি সেদিকে গড়ায়, তবে ফ্লোর টেস্টে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠত🐟া প্রমাণ করব।'
যদিও মুখের দাবি কংগ্রেস বাস্তবে প্রমাণ করে দেখাতে পারবে কিনা, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। আর সেটা যদি শুধুমাত্র হম্বিতম্বিতেই আটকে থাকে, তাহলে দেশের মানচ🧜িত্রে হাত আরও সংকুচিত হতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।