পণের জন্য বিয়ে করেছিল এক ব্যক্তি। কিন্তু বিয়ের দু’বছরের মাথায় পণ অনুযায়ী জিনিস না পাওয়ায় স্ত্রীকে খুন করল তার স্বামী। টিভিএস অ্যাপাচি মোটরবাইক এবং ৩ লক্ষ টাকা পণ বাবদ দাবি করা হয়েছিল। দু’বছর পরও তা মেলেনি। তাই পণের জিনিস না পেয়ে স্ত্রীকে খুন করে ফেলল স্বামী। এই নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল স্বামী–স্তꦉ্রীর মধ্যে। আর তখনই স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে স্বামী। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে স্ত্রী। তখন সেখান থেকে স্বামী পালিয়ে যায়। রক্ত বের হতে থাকায় অবশেষে মারা যান ওই বধূ।
এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। এখানের আমরোহা এলাকায় এভাবে খুনের ঘটনা ঘটায় তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীর নাম সুন্দর। সে বৈখেড়া গ্রামের বাসিন্দা। দু’বছর আগে সুন্দর বিয়ে করে মিনাকে। তখনই পণের কথা বলা হয়েছিল। আর সেই পণের দাবি বারবার করত স্বামী সুন্দর। আর মিনার বাড়ি থেকে তা দিতে না পারায় নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ করেছেন মিনার বাবা। মিনা তাঁর বাবাকে এই কষ্টের কথা বলেছিলেন। মিনা রাখীবন্ধনের দিন থেকে তাঁর বাপে𒀰র বাড়িতেই ছিলেন। সোহরকা এলাকায় মিনার বাপের বাড়ি।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপি–সিপিএম–কংগ্রেসকে ঝাঁটাপেটা করবেন’, জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক
এখানে স্বামী সুন্দরের যাতায়াত ছিল নিয়মিত। এখানে এসে স্বামী সুন্দর খাওয়াদাওয়া করত। আর আড়ালে নিয়ে গিয়ে মিনাকে পণের জন্য হুমকি দিত বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ মিনার পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। রবিবারও সুন্দর এখানে আসে এবং মিনা নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। সেখানে পৌঁছনোর পর দু’জনের মধ্যে পণ নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। কেন বাপের বাড়িতে এতদিন থেকেও মিনা পণ নিয়ে আসতে পারল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকে সুন্দর। জবাব দেয় মিনাও। কিন্তু সেই জবাবে চিঁড়ে ভেজেনি সুন্দরের মনের। তাই রেগে গিয়ে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত কর🔯ে মিনার মাথায়।