꧋ হোটেলের ঘরে ঢুকিয়ে হিরে কারখানার এক শ্রমিক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার সময় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী যে কারখানায় কর্মরত, সেখানেই কর্মরত ছিলেন ওই ব্যক্তি। পেশাগতভাবে ওই ব্যক্তি গুজরাটের হিরে কারখানার ম্যানেজার। ৪১ বছরের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে মুম্বইতে।
🍷পুলিশ বলছে, ওই ম্যানেজার ওই কিশোরীর পরিবারকে নানান রকমভাবে আর্থিক সাহায্য করতেন। ওই কিশোরীর বাবা অসুস্থ। তার ভাই বেকার। মা, বাবা, ভাইয়ের পরিবারকে সাহায্য করতেন ওই ম্যানেজার। পুলিশ জানাচ্ছে, ওই কিশোরীকে ম্যানেজার ভয় দেখাতে থাকেন। তিনি বলেন, তাঁর কথা না শুনলে বাড়িতে পাঠানো আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেবেন তিনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি ওই কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করে সেখানে নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘মেয়েটির পরিবার তার সাথে সুসম্পর্ক ভাগ করে নেয় কারণ সে প্রায়ই তার শয্যাশায়ী বাবাকে দেখতে তার বাড়িতে যেতেন। এমনকি তাঁদের আর্থিক সাহায্যও করেছেন।’ ওই ম্যানেজারকে খুবই বিশ্বাস করতেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। ফলে ম্যানেজারের সঙ্গে মেয়েকে বের হতে দিতেও ছাড়তেন তাঁরা। এদিকে গত ২৯ অক্টোবর ওই কিশোরীর বাড়িতে যান ম্যানেজার। তিনি কিশোরীর পরিবারকে বলেন, তিনি বাড়ির সকলের সঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছেন, তাই ওই কিশোরীকেও নিয়ে যেতে চান। এরপর রাত ৯.৩০ মিনিট নাগাদ ওই কিশোরীকে নিয়ে তিনি চলে যান। এদিকে, হোটেলে ঢুকেই ওই ম্যানেজার জানান, এই কিশোরী তাঁর মেয়ে। ১৪ বছরের ওই কিশোরীর ভুয়ো আধার কার্ডও তিনি দেখান হোটেলে।
🦹পুলিশ বলছে, আণরা জানতে পেরেছি ওই কিশোরীকে হোটেলের রুমে ঢুকিয়ে দিয়েই তার ওপর অত্যাচার শুরু করে দেন ম্যানেজার। অভিযোগ, কিশোরীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন তিনি। তাকে বারবার মনে করাতে থাকেন, তার পরিবারকে দেওয়া আর্থিক সাহায্য তিনি বন্ধ করে দেবেন, ঘটনা নিয়ে কারোর কাছে মুখ খুললে। এছাড়াও যে টাকা তিনি দিয়েছেন, সেই টাকা তিনি ফেরত নিয়ে নেবেন যদি কিশোরী তাঁর কথা না শোনে, এমনই হুমকি দিতে থাকেন বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ বলছে, সেই দিন যৌন উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপর ধর্ষণ করতে গিয়েই তিনি আচমকা লুটিয়ে পড়ে যান। পরে তাঁকে জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।