কেরলে রাস্তার ধারে বহু রোড সেফটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কেউ যদি বেপরোয়া গাড়ি চালায়, হেলমেট পরে নাﷺ যান, পথ বিধি না মানেন তবে তার ছবি ধরা পড়ে ওই ক্যামেরায়। কিন্তু সেই ক্যামেরা এবার কার্যত এক ব্যক্তির মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ি🌜য়েছে। পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও হয়তো তিনি এতটা চাপে পড়তেন না। তিনি একেবারে বউয়ের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছেন। আর তাতেই একেবারে অস্বস্তি চরমে। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
ওই ব্যক্তি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছিলেন। ট্রাফিক ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ছবিꩲ। মোটর ভেহিকেল ডিপা☂র্টমেন্ট সেই ছবি পাঠিয়ে দিয়েছিল বাড়িতে। আর সেই ছবি দেখে তো একেবারে হতবাক ওই ব্যক্তির স্ত্রী।
ওই ব্যক্তির মাথায় হেলমেট ছ൲িল না। আর তার স্কুটারের পেছনে যিনি বসে আছেন তাকে দেখে তো হতবাক ওই ব্যক্তির স্ত্রী। স্কুটারের পেছনে বসে রয়েছে তারই বান্ধবী।
গত ২৫ এপ্রিলের ঘটনা। এদিকে ওই স্কুটারের মালিক হলেন তার স্ত্রী। সেকারণে তার মোবাইলেই🦋 জরিমানার অঙ্ক ও অন্যান্য তথ্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু জরিমানা তো দূরের কথা ছবিতে স্কুটারের পেছনে বসে থাকা মহিলাকে দেখে তিনি রেগে একেবারে খাপ্পা।
মেসেজ পেয়েই স্ত্রী তার স্বামীকে প্রশ্ন করেন স্কুটারের পেছনে বসে থাকা মহিলা কে? ৩২ বছর বয়সি ওই যুবকের দাবি, আমার সঙ্গে ওনার কোনও সম্পর্ক নেই। নিছক লিফট দেওয়ার জন্য ওকে চ✅াপিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে বিশ্বাস হয়নি স্ত্রীর। তিনি চেপে ধরেন স্বামীকে। তুমুল ঝগড়া বেঁধে যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে।
কিন্তু স্বামী বেচারা একেবারেই ﷽বুঝতে পারেননি এভাবে তাঁর 𒁃স্ত্রীর কাছে সরকার থেকে ছবি পাঠিয়ে দেবে। গত ৫ মে স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁর দাবি স্বামী তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। এদিকে পুলিশ স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু রোড সেফটি ক্যামেরা যে তার জীবনে এমন বিপর্যয় নামিয়ে আনবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি।