বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যের আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চেয়ে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি–কে তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ১৪ ডিসেম্বর বৈঠকে হাজির থাকার জন্য মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিজিপি বীরেন্দ্রকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের তরফে রিপোর্ট পাওয়ার পরই এই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের পাঠানো রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, নড্ডা–সহ অন্য বিজেপি নেতাদের কনভয় বা তাঁদের সফর পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে অভিযোগ করে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। এ প্রসঙ্গেই রাজ্যের সাফাই শুনতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি–কে তলব করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, তাঁদের রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হলে রাজ্যের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র।এদিকে, গুরুতর আঘাতের জেরে বিজেপি–র সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাঁ হাতের লিগামেন্ট ছিড়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই তাঁকে ফোন করে হামলার ঘটনা অন্য নেতাদের অবস্থার কথা জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও ফোন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, শুক্রবার বিজেপি–র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়কে ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন অমিত শাহ।বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর হাত গুটিয়ে বসে নেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। ইতিমধ্যে উস্তি ও ফলতা থানায় দুটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ৭ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সাতজনই নড্ডার কনভয়ে হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাতভর তল্লাশির পর শুক্রবারও ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।