সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির শীর্ষ নেতা আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি। হিন্দুদের উপর নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত এই জঙ্গি নেতা আতাউল্লাহ। তাকে আন্তর্জাতিক আদালতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানালেন মায়ানমারের হিন্দুরা। ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে উত্তর মংডু এলাকায় খা মউংসিক গ্রামে ১০০ জনেরও বেশি হিন্দুকে মেরেছিল এই আতাউল্লাহ। এই আবহে নরিঞ্জরা পোর্টালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মংডুর স্থানীয় হিন্দু নেতা উ মউল নি বলেন, 'এখানকার হিন্দুরা আমরা চাই যাতে বাংলাদেশ সরকার এই আরসা নেতাকে আইসিসি (আন্তর্জাতিক আদালত)-র হাতে তুলে দিক। এখানকার হিন্দুদের হত্যা করার অপরাধে তার সাজা চাই আমরা।' (আরও পড়ুন: '𓆏বিদেশের মাটিতে ভারত বিরোধীদের মারছে', RAW-কে নিষিদ্ধ করা🌄র দাবি মার্কিন কমিশনের)
আরও পড়ুন: '𝐆অভ্যুত্থান গুজবে' নাম থাকা বাংলাদেশি জেনারেল দেখা করলেন অভ্যুত্থানকারীদের সঙ্গে
পাকিস্তানের করাচিতে তাঁর জন্ম। পরে পরিবারের সঙ্গে তিনি আরবে চলে যান। সেখানে আরবি ভাষায় তাঁর পড়াশোনা। এর পরে তিনি জঙ্গি সংগঠনের সংস্পর্শে আসেন। পাকিস্তানের ফিরে জিহাদি জঙ্গিদের কাছে প্রশিক্ষণ শুরু করেন। পরে লিবিয়ায় গিয়ে আরও উন্নত প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই তাঁকে মায়ানমানের রাখাইন প্রদেশে পাঠায়। সেখানে তাঁকে এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান করা হয়। (আরও পড়ুন: ধর্মীয় মিছিলে পাথর নিক্ষেপ, হিংসা নিয়ন্ত্রণে মোতায়⛎েন বিপুল সংখ্যক পুল𒀰িশ)
আরও পড়ুন: চিন সফরের আগে মহম্মদ ইউন𝓡ুসকে বার্তা পাঠা🌱লেন নরেন্দ্র মোদী, লিখলেন...
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৪ এবং ২৫ অগস্ট জুড়ে মংড়ু এলাকায় মহিলা, শিশু সহ ১১৩ জন হিন্দুকে মেরেছিল আরসার জঙ্গিরা। সেই হত্যালীলার মাথায় নাকি ছিল এই আতাউল্লাহ। মৃতদের মধ্যে ২৩ জন শিশু ছিল বলে দাবি রেঙ্গুনের হিন্দু এইড অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ইউ রাগু ন্যায় মিন্ট। এদিকে ৯ জন হিন্দু মহিলাকে ধরꦍ্ষণ এবং বহু হিন্দু মহিলাকে ধর্মান্তরিত করারও অভিযোগ এই আরসা নেতার বিরুদ্ধে।
বাংলদেশের সংবাদমꩲাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকা এবং উত্তর ময়মনসিংহ জেলার উপকণ্ঠে রাতভর অভিযান চালিয়ে আরসার এই ১০ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। বাংলাদেশের আধিকারিকদের অনুমান, আরসা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নাশকতা চালানোর ষড়যন্ত্র করছিল। ধৃতদের কাছ থেকে নগদ ২১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে রোহিঙ্গা শিবিরের ভিতরে ঢুকে রোহিঙ্গা শান্তিকর্মী মহিব উল্লাহকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল আতাউল্লাহ। এছাড়াও, দক্ষিণ-পূর্ব কক্সবাজারে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই)-এর কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদি হত্যার মূল অভিযুক্ত 𒉰এই আতাউল্লাহ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে বাকি চারজন হলেন মহিলা ও শিশু। ফলে তাদের হেফাজতে রাখার আর্জি জানানো হয়নি।