সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এ বছর নির্দিষ্ট সময়ের পরেও এমবিবিএস’এ অনেক পড়ুয়াকে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। সেই সমস্ত ভর্তিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল। এর ফলে গোটা দেশের প্রায় ৬০০ জন ডাক্তারি পড়ুয়া আসন খোয়াতে চলেছেন। ফলে স্বাভাবিক🌄ভাবেই তারা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। একইসঙ্গে এরফলে দেশে এর ফলে কয়ে হাজার আসন ফাঁকা থেকে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এমবিবিএস কোর্সের চূড়ান্ত ভর্তির সময়সীমা থাকলেও তার পরে অক্টোবরেও সরকারি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে অনলাইন এবং অফলাইনে ছাত্র ভর্তি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বাইরে থেকে MBBS করবেন? এই ൲সব✱ নিয়ম জানাল কেন্দ্র
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্দিষ্ট সময়ের পরে যে সমস্ত ছাত্ররা ভর্তি হয়েছে তাদের ভর্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। জানা গিয়েছে, সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ১৫০০ টির বেশি আসন ফাঁকা ছিল। নিয়ম অনুসারে, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সংস্থাগুলি কাউন্সেলিং পরিচালনা করতে পারবে। কিন্তু, সেক্ষেত্রে কলেজগুলি ওই ছাত্রদের সরা⭕সরি ভর্তি করেছিল।
২০১৯ সালে সুপ্༒রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, সেপ্টেম্বরের পর এমবিবিএসে ভর্তি নেওয়া চলবে না। সে ক্ষেত্রে সময়সীমা পেরিয়ে গেলে ডাক্তারিতে ভর্তির বৈধতা থাকবে না বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে দেখা গিয়েছে, এবছর সারা দেশে গত ১৯ দিন ধরে এমবিবিএস–এ ভর্তির কাউন্সেলিং চলে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র এবং বিহারে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই নির্দেশের ফলে দেশে বেশ কয়েক হাজার আসন ফাঁকা থেকে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং মহারাষ্ট্রে সেই সংখ্যাটা অনেক বেশি হবে বলে স্বাস্থ্য মহলের একাংশ মনে করছেন। চিকিৎসক মহলের মতে, অধিকাংশ কলেজেই ৩০ সেপ্টেম্বরের পরে অর্ধেক আসনে পড়ুয়ারা ভর্তি হয়েছেন। এর ফলে প্রচুর আসন ফাঁকা হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে ৩৫ টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। যার মধ্যে ৯টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। ওই কলেজগুলিতে গড়ে ১০০ থেকে ১৫০টি করে আসন রয়েছে। আবার বিহার এবং মহারাষ্ট্রে সেই সংখ্যাটা আরও অনেক গুণ বেশি। ফলে 🅠সে ক্ষেত্রে আঁচ করা যাচ্ছে কয়েক হাজার আসন ফাঁকা থেকে যাবে।