পহলগাঁও হামলায় নিজেদের ভূমিকা অস্বীকার করলেও সাংবাদিক বৈঠকে মুখ ফসকে পুলওয়ামা হামলায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিল পাক সেনাবাহিনী। ২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় CRPFএর কনভয়ে প্রবল বিস্ফোরণে ৪০ জন CRPF জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। রবিবার সকালে এক সাংবাদিক বৈঠকে সেই ঘটনাকে পাক সেনাবাহিনীর ‘কৌশলগত দক্ষতা’ বলে দাবি করলেন পাকিস্তানি বিমাবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল ঔরঙ্গজেব আহমেদ। এই প্রথম ভারতীয় ভূখণ্ডে কোনও হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করল পাক সেনা। যে দাবি গত বেশ কয়েক দশক ধরে করে আসছে ভারত।
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে নিজেদের বড়াই করতে গিয়ে ঔরঙ্গজেব আহমেদ বলে ফেলেন, ‘পুলওয়ামায় আমরা ওদের আমাদের কৌশলগত দক্ষতা সম্পর্কে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি…’
ঔরঙ্গজেব বলেন, ‘পাকিস্তানের আকাশসীমা, জলসীমা, ভূখণ্ড বা মানুষ যদি বিপন্ন হয় তাহলে কোনও সমঝোতা করা হবে না। এই ধরণের ঘটনা উপেক্ষা করা যায় না। এব্যাপারে আমরা রাষ্ট্রের কাছে প্রতিশ্রতিবদ্ধ। পাকিস্তানি জনগণের সশস্ত্র বাহিনীর উপর যে গর্ব এবং আস্থা রয়েছে তা আমরা সর্বদা বজায় রাখি, যেকোনো মূল্যে। পুলওয়ামায় আমাদের কৌশলগত দক্ষতার মাধ্যমে আমরা তা বোঝাতে চেষ্টা করেছি; এখন, আমরা আমাদের অপারেশনাল অগ্রগতি এবং কৌশলগত দক্ষতা প্রদর্শন করেছি। আমি বিশ্বাস করি তাদের (ভারতের) মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
ঔরঙ্গজেব যখন এসব কথা বলছেন তখন তাঁর পাশে বসে পাক সেনার প্রধান মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী। এই আহমেদ শরিফ চৌধুরী পাক বিজ্ঞানী সুলতান বসিরউদ্দিন মহমুদের ছেলে। যে বসিরউদ্দিন আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে দেখা করে তাদের হাতে পরমাণু বোমার প্রযুক্তি তুলে দিতে গিয়েছিলেন। রাষ্ট্রসংঘের সিকিওরিটি কাউন্সিলের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রয়েছে তার নাম।
বলে রাখি, পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ অস্বীকার করেছিলেন সেদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পুলওয়ামা হামলায় অভিযুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ৭ জনকে খতম করেছে ভারত। আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় বাহিনী।