শনিবারই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। স্থল, আকাশ, জলপথে কোনও সেনা সংক্রান্ত পদক্ষেপ না হওয়ার কথা হয়েছে। যদিও তার ৩ ঘণ্টা পর পাকিস্তান সীমান্তের ওপার থেকে ধেয়ে আসে ড্রোন। ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, দায়িত্বশীল হওয়ার কথা। এদিকে, শনিবার এই সব ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে ভারত, পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে তিনি মুখ খোলেন।
‘দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভারতের সঙ্গে ইস্যুগুলি নিয়ে। শনিবার ভারত, পাক সংঘর্ষবিরতির ঘোষণার পর দুই দেশের মধ্যে বাকি ইস্যুগুলি নিয়ে এক চ্যানেলের তরফে পাকিস্তানী প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে দুই দেশে আলোচনা হতে পারে তিনটি বিষয়ে। একটি হল, সিন্ধু জল চুক্তি, অপরটি সন্ত্রাস, আরেকটি কাশ্মীর। প্রসঙ্গত, আজ শনিবারই মার্কিন মুলুক থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি দুইপক্ষের (ভারত ও পাকিস্তান) সঙ্গেই কাজ করতে চাই, যদি কাশ্মীর নিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান উঠে আসে।’ এদিকে, শনিবারের সংঘর্ষ বিরতি সমঝোতার পর পাকিস্তানের মন্ত্রী আসিফ মুনিরের বক্তব্য বেশ প্রাসঙ্গিক। তিনি, বলছেন, সিন্ধু জল চুক্তি, সন্ত্রাস, কাশ্মীর ‘এই তিন ব় বিষয়ে আলোচনা হতে পারে’ ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের। সংঘর্ষ বিরতি যে পাকিস্তানকে কতটা স্বস্তি দিয়েছে, তা উঠে এসেছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কথায়। যিনি বলেছিলেন,'পাকিস্তানের প্রতিরক্ষায় দ্বিতীয় সারিতে রয়েছে মাদ্রাসার পড়ুয়ারা'। সেই পাকমন্ত্রী খোয়াজা আসিফ বলছেন,' যদি সংঘর্ষ বিরতি শান্তির রাস্তা তৈরি করে, তাহলে তা স্বাগত জানানোর মতো ঘটনা।' তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যখন শান্তির বিষয়ে বক্তব্য রাখছেন, তখন দেখা গিয়েছে, সংঘর্ষ বিরতির ঘোষণার ৩ ঘণ্টার মধ্যে তাঁরই মন্ত্রকের আওতায় থাকা পাকিস্তানি সেনা ভারতকে তাক করে সীমান্তে ড্রোন বর্ষণ করছে।
( ভান্সের ফোন আসে মোদীর কাছে! 'সিজ ফায়ার' না হলে কী ঘটতে পারত? Report যা বলছে)
( ভারত-পাকের ‘সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চলেছি, কাশ্মীর নিয়েও কোনও সমাধানে..', মুখ খুললেন ট্রাম্প)
উল্লেখ্য, নয়া দিল্লি বারবার এই সংঘর্ষ বিরতির ঘটনাকে বোঝাপড়া বলে উল্লেখ করেছে। আসিফ বলছেন,'সময় যত এগোবে শান্তি নিয়ে সুযোগ হয়তো তত আসবে।' পাকিস্তানের মন্ত্রী আসিফ আশা প্রকাশ করেছেন,' আমরা আশা করব, ভারত, বিশেষত তার নেতৃত্ব, একদিন পার্টির স্বার্থের উর্ধ্বে গিয়ে এলাকার ভবিষ্যৎকে অগ্রাধিকার দেবে।' তিনি বলছেন, দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান দুই দক্ষিণ এশিয়ার অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি। এই সাক্ষাৎকারে তিনি পাকিস্তানের তরফে কূটনৈতিক সমর্থন করার জন্য তুরস্ক, চিন, আজারবাইজান ও বাকি উপসাগরীয় দেশকে ধন্যবাদ জানান।