শনিবার ঠিক যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত পর্ব তুঙ্গে ছিল, পাকিস্তানের তরফে যখন ফতেহ ১ মিসাইল থেকে শুরু করে একাধিক ড্রোন আছড়ে পড়েছে ভারতের বুকে, তার আগের রাতে যখন ভারত গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছিল পাকিস্তানের পর পর তাবড় এয়ারবেস, তখনই হঠাৎ আসে শনির বিকেলে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত, পাকিস্তান দুই দেশই সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত। তারপর দুই দেশের তরফেও সেই বার্তায় শিলমোহর দেওয়া হয়। তার ২৪ ঘণ্টা পরই ট্রাম্প জানালেন তাঁর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে চলেছে। কাশ্মীর সমাধান নিয়েও এল ট্রাম্পের বড় বার্তা।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে দুই দেশের ফের প্রশংসা উঠে এল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফে। তবে শনিবার রাতে পাকিস্তান যে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে, তা নিয়ে কিন্তু ট্রাম্পের বার্তায় এক ফোঁটা কোনও বক্তব্য আসেনি। বরং দুই দেশকে কার্যত সমানভাবেই তিনি বার্তা দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণভাবে ট্রাম্পের বক্তব্যে উঠে আসে কাশ্মীর সমাধান প্রসঙ্গ। যা ভারতের কূটনৈতিক আঙিনায় একটি বড় বার্তা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্র এদিন বলেন,' ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী এবং অটল নেতৃত্বের জন্য আমি খুবই গর্বিত... আমি গর্বিত যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আপনাদের এই ঐতিহাসিক এবং বীরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাহায্য করতে পেরেছে।' এরই সঙ্গে তিনি বলছেন,' যদিও আলোচনা করা হয়নি, আমি এই দুটি মহান দেশের সাথেই বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে যাচ্ছি।' পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য উঠে আসে কাশ্মীরের সমাধান প্রসঙ্গ। ট্রাম্প বলেন,' তাছাড়া, আমি দু'পক্ষের সাথেই কাজ করে দেখব যে, "হাজার বছর পর" কাশ্মীরের ব্যাপারে কোনও সমাধানে আসা যায় কিনা।'
কাশ্মীর প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বক্তব্য আসতেই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন ডিজিপি এসপি বৈধ বলেছেন,' কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের ঘোষিত নীতি হলো, আমরা কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপকে স্বাগত জানাই না, এটি সিমলা চুক্তি অনুসারে, এটি দুটি দেশের মধ্যে একটি বিরোধ এবং তারা এটি সমাধানের জন্য একসাথে বসবে।' সেই জায়গা থেকে আমেরিকার কাশ্মীর নিয়ে এতটা আগ্রহ, দিল্লির জন্য কতটা সুখকর, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। যেখানে ভারত, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি করেছে, এছাড়াও নিয়েছে বহু পদক্ষেপ, সেই কাশ্মীর ঘিরে মার্কিন এই আগ্রহ, কতটা ভারতের কূটনীতিতে প্রভাব ফেলে সেদিকে তাকিয়ে দক্ষিণ এশিয়া সহ বিশ্বের নানা মহল।