শনিবার বিকেলেই যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি যুদ্ধবিরতির কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। এদিন বিকেল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারতে হামলা চালায় পাকিস্তান। শ্রীনগর উপত্যকায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।শনিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সুন্দরবানি এবং নওশেরা সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়। এদিনই যুদ্ধবিরতির আগে জম্মুর আরএস পুরা এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে শহীদ হয়েছেন বিএসএফের সাব-ইন্সপেক্টর মহম্মদ ইমতিয়াজ। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে যুদ্ধ বিরতির আগে জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তের একাধিক জায়গায় আরও ৫ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের একজন আধিকারিক।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ থামছে না, সাফ কথা জয়শংকরের
সেনা বাহিনীর তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, শুক্রবার রাত ৯ থেকেই পাকিস্তান জম্মু সেক্টরে বিএসএফ পোস্টগুলি লক্ষ্য করে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাতে থাকে। তবে বিএসএফ তার পাল্টা জবাব দেয়। তার ফলে আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের পোস্ট এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে গোলাবর্ষণে ওই বিএসএফ সাব-ইন্সপেক্টর শহীদ হন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। বিএসএফের তরফে এক্স পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘১০ মে জম্মুর আরএস পুরা এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে সীমান্ত পার হয়ে গোলাবর্ষণের সময় জাতির সেবায় বিএসএফের সাহসী সাব-ইন্সপেক্টর মহম্মদ ইমতিয়াজের আত্মত্যাগকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই।’ জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন তিনি। বিএসএফের ডিজি থেকে শুরু করে অন্যান্য আধিকারিক ও জওয়ানরা তাঁর আত্মত্যাগে পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আগে জম্মু, রাজৌরি, পুঞ্চ, সাম্বা এবং উধমপুর জেলার একাধিক স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিবর্ষণে আরও ৫ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন জম্মু কাশ্মীর অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (জেকেএএস) একজন আধিকারিক রাজ কুমার থাপ্পা। এছাড়াও রয়েছেন ৪ জন নাগরিক। আহত হয়েছেন ১২ জনেরও বেশি নাগরিক।