সংঘর্ষ বিরতির কথা ঘোষিত হওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার রাতে পাকিস্তানের সীমান্তের ওপার থেকে ফের ধেয়ে এসেছিল পঙ্গপালের মতো ড্রোন! ভারত যথেষ্ট ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে। দিল্লি সাফ হুঁশিয়ারিতে জানিয়ে দেয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেওয়া হবে জবাব। পুরো পরিস্থিতির উপরে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়ে দেয় ভারত। এদিকে, জম্মু, শ্রীনগরের আকাশে ধীরে ধীরে কমতে দেখা যায় সীমান্তপারের ড্রোনের আনাগোনা। এই পরিস্থিতির মাঝে অমৃতসররে জারি রেড অ্যালার্ট। শনির রাতে মহারাষ্ট্রের পুনে বিমানবন্দরেও দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক আউট ড্রিল। ফলে নানান প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
অমৃতসরের পরিস্থিতি:-
শনিবার পঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকা রাতভোর দেখেছে পাক তাণ্ডব। তীব্র গতিতে একের পর এক জায়গায় ধেয়ে এসেছে পাক ড্রোন। জোরদারভাবে প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা। এরপর, রবিবার সকালেও স্বর্ণমন্দিরের শহর অমৃতসরে জারি রয়েছে রেড অ্যালার্ট। লাল সতর্কতা রয়েছে গোটা অমৃতসর জুড়ে। প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের দেওয়া হয়েছে সাফ নির্দেশ। বাসিন্দাদের ঘরের ভিতরে থাকার নির্দেশ রয়েছে বলে খবর। রবিবর সকালে এক বিবৃতিতে অমৃতসররে জেলা কালেক্টর জানিয়েছেন,' আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ আপনাদের সুবিধার জন্য চালু করেছি। তবে রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে। সাইরেন বাজবে, আর তাই নির্দেশ করবে রেড অ্যালার্টের। দয়া করে বাড়ির বাইরে বের হবেন না। বাড়ির ভিতরে থাকুন। জানলা থেকে ভিতরে থাকুন। আমরা সবুজ সংকেত পেলে জানাব। দয়া করে এটি পালন করুন, আর আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না।'
এর আগে অমৃতসরের বাসিন্দাদের, ভোর ৪.৫৯ মিনিট নাগাদ আলো নিভিয়ে জানলা, রাস্তা, ব্যালকনি, ছাদ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় জেলা কালেক্টরের তরফে। বারবার বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে, আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে নিরাপত্তার নিয়ম মানার কথা।
পুনে বিমানবন্দরে ব্ল্যাকআউট ড্রিল:-
এদিকে, পুনে বিমানবন্দরে শনিবার রাতে হঠাৎই ব্ল্যাক আউট ড্রিল শুরু হয়। হঠাৎই সেখানে আলো নিভিয়ে তা শুরু হয়। যে বিমানগুলি আসছিল, তাকে ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরে অবতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘোষণা করা হয়, যাতে যাত্রীরা তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকেন ও শান্ত থাকেন। বিমানবন্দরের ডিরেক্টর সন্তোষ ধোকে জানান, এই আপৎকালীন ব্ল্যাক আউট ড্রিল সফল ছিল। এই ড্রিলের মাধ্যমে প্রস্তুতিপর্ব যাচাই করে দেখা হয়েছে।