গ্রাহককে মাত্র ৫০ পয়সা ফেরত দেয়নি পোস্ট অফিস। তার জন্য বিপুল অঙ্কের খেসারত গুনতে হল পোস্ট অফিসকে। ৫০ পয়সা না দেওয়ার জন্য ওই পোস্ট অফিসকে ১৫০০০ টাকা জরিমানা করেছে একটি উপভোক্তা আদালত। ঘটনাটি চেন্নাইয়ের। অবিলম্বে এই অর্থ গ্রাহককে দিতে হবে বলে পোস্ট অফিসকে নির্দেশ দিয়েছে চেন্নাইয়ไের ওই উপভোক্তা আদালত। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর গে🐈রুগামপাক্কামের।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে টাকা জমা রাখেন? একাধিক স্কিমে বদল হয়েছে, জেনে নি🅺ন
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ৩ ডিসেম্বর। গেরুগামপাক্কামের বাসিন্দা মনশা পলিচাল্লুর স্থানীয় ওই পোস্ট অফিসে গিয়েছিলেন একটি চিঠি পাঠানোর জন্য। ডাক টিকিট হিসেবে তাঁর খরচ পড়ে ২৯ টাকা ৫০ পয়সা। তবে ৫০ পয়সা খুচরো না থাকায় তিনি পোস্ট অফিসের ক্লার্ককে দিয়েছিলেন ৩০ টাকা। ভেবেছিলেন যে পোস্ট অফিসের ক্লার্ক তাঁকে ৫০ পয়সা ফেরত দেবেন। 🅘কিন্তু, সেই অর্থ তাঁকে ফেরত দেওয়া হয়নি। মনশা ৫০ পয়সা ফেরত দেওয়ার জন্য ক্লার্কের ওপর জোর দেন। তখন ক্লার্ক তাঁকে জানান- যে পোস্ট অফিসের সিস্টেমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিমাণটি ৩০ টাকা ধার্য করেছে। এতে ১ টাকার নিচে কোনও গ্রহণ করে না। এরপর ওই গ্রহণ অনলাইনে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু, ক্লার্ক জানান, অনলাইনে লেনদেনে প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। ফলে তাঁকে ৩০ টাকায় দিতে হবে।
ন্যায্য পয়সা ফেরত না পাওয়ায় তখন ওই ব্যক্তি উপভোক্তা আদালতে নিজের অভিযোগ জানান। অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ইন্ডিয়া পোস্টের দৈনিক লেনদেনগুলিতে༺ এভাবে সরকারের রাজস্বের ক্ষতি করতে পারে। পোস্ট অফিস বলেছে, যে ৫০ পয়সার কম অর্থের পরিমাণকে সফ্টওয়্যারটি এই নিকটতম টাকা হিসেবে ধরার জন্য প্রোগ্রাম করা হয়েছে।
মনশাকে অনলাইন মারফত অর্থ প্রদানের অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে পোস্ট অফিস ব্যাখ্যা করেছে পোস্ট অফিসের ডিজিটাল পেমেন্ট মোডটি ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং ২০২৪ সালের মে মাসে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কমিশন বলেছে যে পোস্ট অফিস স্বীকার করেছে একটি সফ্টওয়্যারে ত্রুটির কারণে ওভারচার্জিং (বেশি টাকা) নেওয়া হয়েছে। আদালতের মতে, এটি ২০১৯ সালের উপভোক্তা সুরক্ষা আইনের ২(৪৭) ধারার অধীনে একটি অসৎ ব্যবসা। সবকিছু খতিয়ে দেখার পর পোস্ট অফিসকে এই🐈 পরিমাণ অর্থ জরিমানা 🅰করেছে উপভোক্তা বিষয়ক আদালত।