মর্মান্তিক ঘটনা! দুই ছেলে ও মেয়ে এবং বন্ধুর ছেলেকে নিয়ে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়েছিলেন আরএএফের এক জওয়ান। তবে কারও আর ঘরে ফেরা হল না। গঙ্গার প্রবল স্রোতে ভেসে গেল তিন শিশু। তাদের বাঁচাতে গিয়ে নিজেও স্রোতের তোড়ে ভেসে গেলেন ওই জওয়ান। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আরও একজন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো𒁃 হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আরএএফ জওয়ানের নাম উমেশ কুমার। তিনি বিহারের𒊎 লক্ষীসরাইয়ের বাসিন্দা। তাঁর পোস্টিং ছিল শান্তিপুরমে। তবে তিনি সপরিবারে প্রয়াগরাজে থাকতেন। বুধবার তিনি তাঁর ১১ বছরের ছেলে বিবেক রাজ, ৯ বছরের মেয়ে দীপশিখা এবং তার এক বন্ধুর ছেলে অভিনবকে নিয়ে প্রয়াগ রাজের ফাফামাউ ঘাটে স্নান করতে যান। তখনই ঘটে বিপত্তি। স্নান করার সময় গঙ্গার প্রবল স্রোতে তিন শিশু ভেসে যায়। তাদের বাঁচাতে গিয়ে উমেশও ভেসে যান। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। এদিকে খবর ꦐপেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তাদের উদ্ধারের জন্য মোতায়েন করা হয় ডুবুরি, এনডিআরএফ।
দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর ডুবুরিরা উমেশ, বিবেক রাজ এবং অভিনবর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। তবে উমেশের মেয়ে দীপশিখা এখনও নিখো🌳ঁজ রয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এඣকই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন উমেশের স্ত্রী। তিনটি মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছেম ময়নাতদন্তের পর দেহগুলি তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রয়াগরাজ হল একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান। মনে করা হয়, ভারতের সমস্ত তীর্থস্থান প্রয়াগরাজ থেকে তৈরি হয়েছিল। কথিত আছে যে এখানে যে কেউ প্রার্থনা করলে তার মনোবাঞ্ছা অবশ্যই পূরণ হয়। এখানে তিনটি নদীর সঙ্গম রয়েছে, যা খুবই বিরল এবং এটি দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখানে আসেন। সপ্তাহখ🔯✅ানেক আগেই এখানে স্নান করতে গিয়ে নদীর স্রোতে ভেসে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে ৪ জন ছিল কিশোর।