ফরাসী যুদ্ধবিমান রাফাল আপাতত ভারতীয় বায়ু সেনার নয়া পোস্টার বয়। তবে এই লড়াকু যুদ্ধবিমানের চুক্তি ঘিরে একাধিক পর্ব উঠে আসে। ৭.৮ বিলিয়ন ইুরোর বদলে ভারতে ৩৬ টি রাফাল বিমান পৌঁছে যাওয়ার চুক্তি সম্পন্ন হয় নির্মাণকারী সংস্থা দ্যাঁসোর সঙ্গে ভারতের। তবে এই চুক্তিতে অফসেট প্রতিশ্রুতি ঘিরে কিছু বিলম্ব দেখা দিতে শুরু করে। যার জেরে নির্মাণকারী সংস্থা দ্যাঁসোর বিরুদ্ধে জরিমানা লাগু করেছে ভারত। শীর্ষ প্রতিরক্ষা সূত্রের তরফে মঙ্গলবার জানা গিয়েছে যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুতকারক এমবিডিএ থেকে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। যারা দ্যাঁসোকে অস্ত্র প্যাকেজ সরবরাহ করে থাকে।ভারতের সঙ্গে ফ্রান্সের এই ইস্যুতে চুক্তি হয়েছিল, তাতে অস্ত্রের সরবরাহ প্রোটোকল, দ্যাঁসোর সঙ্গে অফসেট অনুবন্ধ, ও নিজের সহযোগী এমবিডিএর সঙ্গে একটি ছোট চুক্তি ছিল। এই চুক্তিতে ৩০ হাজার কোটি টাকা অফসেট মূল্য হিসাবে স্থির হয়। অর্থাৎ পুনঃবিনিয়োগ হিসাবে এই টাকা বন্ধক করার কথা স্থির হয়। উল্লেখ্য, ক্যাগের রিপোর্টেও উল্লেখ করা ছিল যে রাফাল চুক্তিতে অফসেটের সবচেয়ে বেশি নির্বাহ এমবিডিএর দ্বারা ৫৭ শতাংশ, আর দ্যাঁসোর দ্বারা ৫৮ শতাংশ - কেবল সপ্তম বর্ষের জন্য নির্ধারিত রয়েছে।এদিকে, এই ইস্যুতে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অবস্থান ক্রমেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। যে বিদেশী অস্ত্র সরবরাহকারী সংস্থা নিজের অফসেট প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবে না, তাকে রেয়াত করছে না ভারত। কার্যত এই বার্তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট করে দিচ্ছে দিল্লি। এরফলে একাধিক দেশ যেমন রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইজরায়েলের সংস্থা প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কঠোর মনোভাবের নিশানায় এসেছে। বহু সংস্থা এক্ষেত্রে শাস্তি মুকুবের আবেদনও জানিয়েছে ইতিমধ্যে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রক সতর্কবার্তায় সাফ জানিয়েছে যে, সংস্থাগুলির গতিবিধির ওপর নির্ভর করছে তাদের ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি সহ নানাবিধ বিষয়ে মন্ত্রক কোন পদক্ষেপ নেবে। তবে বর্তমানে ভারতের অফসেট নীতি নিয়ে বহু সমালোচনাই উঠে আসছে। গতবছর সেপ্টেম্বরে সংসদে ক্যাগের রিপোর্ট পেশ করে দেশের অফসেট নীতির প্রসঙ্গ তুলে নানান খামতির দিক তুলে ধরা হয়। এই জায়গা থেকে আগামী দিনে ভারতের অফসেট নীতি কোনদিকে যায় সেদিকে নজর রয়েছে বিশেষজ্ঞমহলের।