কয়েকদিন আগেই পটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়েছিল। সেখানে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধীও। তবে সেই বৈঠকের পরও বিরোধী জোট নিয়ে সংশয় রয়েছে। আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের সমীকরণ নিয়ে ধন্দও রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টির মতো দল কংগ্রেসকে জায়গা ছাড়তে নারাজ। এরই মাঝে আপসের পথে হেঁটে আসন বণ্টনের পথে হাঁটতে পারে দলগুলি। তবে একটি দলের ক্ষেত্রে কংগ্রেস যে কোনও ভাবেই জমি ছাড়বে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন খোদ রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতা জানিয়ে দেন, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস-এর সঙ্গে কোনও ভাবেই জোট গড়বে না কংগ্রেস। (আরও পড়ুন: বাংলায় যদি এখনই লোকসভা নির্বাচন হয়, কোন দল কত আসন পাবে? কী বলছে সমীক্ষা)
উল্লেখ্য, অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে কার্যত একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল কংগ্রেস এবং টিডিপি-র। তবে রাজ্য ভাগ হওয়ার পর তেলাঙ্গানায় একচেটিয়া রাজ শুরু করে কেসিআর-এর টিআরএস। সম্প্রতি অবশ্য দলের নাম বদলে বিআরএস রেখেছেন তিনি। কেসিআর-এর দাপটে, তেলাঙ্গানা থেকে প্রায় ধুয়েমুছে গিয়েছে টিডিপি। কংগ্রেসের প্রদীপও নিভু নিভু। তবে বিগত প্রায় একদশকের শাসনের পর বিআরএস-এর বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া বইতে শুরু করেছে তেলাঙ্গানায়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তেলাঙ্গানায় নিজেদের পায়ের তলায় জমি শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। এদিকে নিজেদের হারানো জমি খুঁজে পেতে চাইছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিত💖ে🉐 সম্প্রতি বিআরএস-এ বড়সড় ভাঙনও ধরায় কংগ্রেস। ১২ জন প্রাক্তন মন্ত্রী সহ প্রায় ৩৫ জন শীর্ষ স্থানীয় বিআরএস নেতা যোগ দেন হাত শিবিরে। এই আবহে তেলাঙ্গানায় পা রেখে বড় ঘোষণা করলেন রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন: বিরোধী মহাজোট কি পারবে BJP-কে ঠেকাতে? ২০২৪-এ কোন রাজ্যে কে কত আসন প🌌েতে পারে?
বিআরএস-কে বিজেপির 'বি﷽-টিম' বলে আখ্যা দেন রাহুল। তিনি বলেন, 'বিআরএস হল বিজেপি রিশ্তেদার সমিতি। কেসিআর মনে করেন তিনি রাজা আর তেলাঙ্গানা তাঁর রাজ্য।' তিনি দাবি করেন, বিরোধী দলগুলিকে কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, কেসিআর যদি থাকে, তাহলে বিরোধী জোটের অংশ হবে না কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, 'তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর রিমোট❀ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে।' কর্ণাটকের উদাহরণ টেনে রাহুল বলেন, 'আমরা সদ্য জনসাধারণ বিরোধী, দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে কর্ণাটকে জিতেছি। তেলাঙ্গানাতেও এমনই কিছু হবে।'