নাগরিকত্ব সংশোধনী আ♊ইন (সিএএ), ২০১৯ এর উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদনের শুনানি♎ ১৯ মার্চ হবে। শুক্রবারের শুনানিতে এই মামলা শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল এই বিষয়টি উল্লেখ করার পর প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, আগামী সপ্তাহে বিষয়টি তালিকাভুক্ত করা হবে। এদিন কপিল সিব্বল IUML-এর জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন। কেন ২০১৯-এ পাশ হওয়া সিএএ সংক্রান্ত আইন এখন ভোটের ঠিক আগে জানানো হল, সেই নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন। সিব্বল বলেন যে একবার নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে এই আইনের আওতায় আর বদল করা যাবে না। তাই অন্তর্বর্তী শুনানির জন্য তিনি আপিল করেন। সরকারপক্ষ চেয়েছিলন যে পরের শুক্রবার যেন শুনানি করে। সলিসিটির জেনারেল এটাও বলেন যে 𓃲যারা আবেদন করেছেন, তাদের কোনও অধিকার নেই এই বিষয় কথা বলার যে সরকার কাকে নাগরিকত্ব দেবে। প্রধান বিচারপতি বলেন যে মঙ্গলবার তারা এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি করবেন। যে ২৩৭টি পিটিশন জমা পড়েছে সবগুলিকে একসঙ্গে লিস্ট করা হবে। যদি কয়েকজন আইনজীবী মিলে মামলা লড়েন, যাতে একই কথার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্যেও আবেদন করেছেন প্রধান বিচারপতি।
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে সিএএ-র বিভিন্ন ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০১৯ সাল থেকে শীর্ষ আদালতে দায়ের করা দুই শতাধিক সংযুক্ত পিটিশনে সিএএ-র বিভিন্ন ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ꦺধর্মীয় বৈষম্ꦫয এবং স্বেচ্ছাচারিতার ভিত্তিতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে সিএএ পাশ হলেও সোমবার তার জন্য বিধি জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।এই আইনের বিজ্ঞপ্তিটি বিরোধী নেতাদের সমালোচনার সূত্রপাত করেছিল, যারা দাবি 🌌করেছিল যে বিজ্ঞাপিত বিধিগুলি 🍎 অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত নাগরিকত্বের ধর্মনিরপেক্ষ নীত" লঙ্ঘন করে।
সিএএ-র সমালোচকরা আরও যুক্তি দিয়েছিলেন যে মুসলমানদের এর আওতা থেকে বাদ দিয়ে এবং নাগরিকত্বকে ধর্মীয় পরিচ🦩য়𓃲ের সাথে যুক্ত করে আইনটি ভারতীয় সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ নীতিগুলিকে ক্ষুণ্ন করে।
কেন্দ্র অবশ্য বলেছে যে সিএএ নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এবং দেশের কোনও নাগরিক নাগরি꧑কত্ব হারাবেন না।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সিএএ কখনই প্রত্য💞াহার করা🌄 হবে না এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কখনই এর সাথে আপস করবে না।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আম꧙াদের দেশে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা আমাদের সার্বভৌম অধিকার, আমরা এর সাথে কখনই আপস করব না এবং সিএএ কখনই ফিরিয়ে নেওয💜়া হবে না। তিনি বলেন, বিরোধীদের আর কোনও কাজ নেই। তাদের এক কথা বলা এবং অন্য কাজ করার ইতিহাস রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও বিজেপির ইতিহাস ভিন্ন। বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী মোদী যা বলেন তা পাথরে খোদাই করার মতো। মোদীর দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে।