দল আগেই ভেঙেছিল। একচ্ছত্র আধিপত্য ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছিল। এবার ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’ শরদ পাওয়ারের নিজের হাতে গড়া দলের নামই এখন বদলে গেল। ফলে এখন আর স্ট্রং রইলেন কিনা শরদ তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। কারণ তাঁর হাতে থাকা দলের অংশের নতুন নাম হল—‘ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি শরদচন্দ্র পাওয়ার’। এই নামের দল নিয়েই এবার আসন্ন রাজ্যসভা–লোকসভা নির্বাচনে লড়তে হবে ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’কে। ভাইপো অজিত প🍸াওয়ারের গোষ্ঠীকেই ‘এনসিপি’ নাম ও নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহার করার অধিকার দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী সূত্রে খবর, নতুন দলের নাম হিসাবে ‘ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি শরদচন্দ্র পাওয়ার’, ‘মি রাষ্ট্রবাদী’ এবং ‘শরদ স্বাভিমান🔯ী’—এই তিনটি নামের মধ্যে একটি চেয়েছে এনসিপি প্রতিষ্ঠাতার গোষ্ঠী। নির্বাচনী প্রতীক হিসাবে তাদের তিনটি পছন্দের বিষয় হল, ‘কাপ–প্লেট’, ‘সূর্যমুখী ফুল’ এবং ‘উদীয়মান সূর্য’। এই তিনটির মধ্যে প্রথম নামটি বেছে নেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ১৯৯৯ সালে সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন শরদ পাওয়ার। তারপর নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন নতুন দল এনসিপি। আড়াই দশক পরে নিজের হাতে গড়া দলই তাঁর হাতছাড়া হল। যদিও নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের অন্যতম উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এখন বিজেপির সহযোগী। ২০২৩ সালের ২ জুলাই এনসিপি’র অন্দরে পরিবর্তন ঘটে। তার জেরে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে বদলে যায় সমীকরণ। অজিত পাওয়ার–সহ ৯ জন বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কের মন্ত্রিত্ব এবং ভাল দফতর লাভের পর পরিষদীয় দলের অন্দরে তাঁর শিবিরের পা☂ল্লা ভারী হতে থাকে। সাংসদদের একটা বড় অংশও তাঁর দিকে ঝুঁকে যায়। এই পরিস্থিতিতে দলের উপর শরদ পাওয়ারের নিয়ন্ত্রণের দাবি খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যা ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’–এর কাছে জোর ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: যোগ্যশ্রী প্রকল্পে এবার সুযোগ পাবেন সাধারণ পড়ুয়াꦡরাও, মাস্টার🐻স্ট্রোক দিলেন মমতা
তাছাড়া এই দল ভাগাভাগির জেরে নামের পাশাপাশি প্রতীকও হারিয়েছেন ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’। সুতরাং রাজ্যসভা–লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে হলে নতুন প্রতীকও বেছে নিতে হবে শরদকে। এতো কম সময়ের মধ্যে নতুন প্রতীক বেছে তা মানুষের কাছে পৌঁছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা একপ্রকার অসম্ভব কাজౠ। সেই অসম্ভব কাজকে সম্ভব কেমন করে করবেন এই পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। আর জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, এনসিপি’র নাম এবং চিহ্ন ব্যবহারের অধিকার থাকবে অজিত পাওয়ার শিবিরের কাছে।