শিশির গুপ্তাচিন সম্প্রতি ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নামকরণ করেছে বলে খবর। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পরে এনিয়ে তৃতীয়বার এই ধরনের পদক্ষেপ নিল চিন। গত ৫ এপ্রিল চিনের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছিলেন, ভারতের অরুণাচল প্রদেশ চিনের অংশ ছিল। বেজিং কিছু জায়গার নামকরণ করেছে। সার্বভৌমত্বের অধিকার রক্ষার নিরিখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিকে ২০১৭ সাল থেকে অরুণাচল প্রদেশের অন্তত ৩২টি লোকেশনের নামকরণ করার উদ্যোগ নিয়েছিল চিন। নিজেদের দাবিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য় এই কীর্তি করেছিল চিন।এদিকে ৩৪৮৮ কিমি দীর্ঘ লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে নানা দাবি ও পালটা দাবি থেকেই গিয়েছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাবিতে অনড়। ভারত বরাবরই বলে আসছে গোটা আকসাই চিন( ১৮৬৫ সালের জনসন লাইন অনুসারে) ও অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই অংশ। কিন্তু চিন নানা সময়ে সুযোগ সুবিধা মতো তার অবস্থানের বদল ঘটিয়েছে।এবার একেবারে অরুণাচলের কিছু জায়গা তাদের মতো করে নামকরণ করার উদ্যোগ নিচ্ছে চিন। তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও চিন এই কাজ করেছিল। এদিকে আকসাই চিনের কিছু জায়গায় নাম রয়েছে তিব্বতীয় ভাষা অনুসারে। বলা হয় তিব্বতীয় ভাষার কিছুটা সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। সেটা মান্দারিন চিনা ভাষা থেকে আসেনি। সেকারণে একাধিক জায়গার নাম রয়েছে যেটার সঙ্গে মিল রয়েছে সংস্কৃত ভাষার। যেমন হোতান, কাশগড়, তাশিকুরগান। পূর্ব তুরকেস্তানকে তিব্বতীয় ভাষায় বলা হয় সিংকিয়াং ও চিনের তরফে এই জায়গাকে বলা হয় জিনজিয়াং।এদিকে এর আগে ভারতের তরফে একটি ম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে পূর্বের আকসাই চিন ও অধিগৃহীত কাশ্মীরকে নিজেদের বলেই দাবি করা হয়েছিল। তবে ১৯৫৪ সাল থেকে ভারত আকসাই চিনের মধ্য়ে থাকা জায়গার কোনও নামকরণ করেনি।এদিকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে চিনের আগ্রাসন রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের মোদী সরকারের উপর বার বার চাপ তৈরি করেছে কংগ্রেস। তবে ইতিহাস বলছে কেন্দ্রে যখন কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ছিল তখন গোটা আকসাই চিন ও অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশ ভারত হারিয়েছিল। কার্যত সেই সময় চিন উড়ে এসে জুড়ে বসেছিল ভারতের এলাকায়।তবে ভারতের তরফে মুখপাত্র সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অরুণাচল ভারতের অবিচ্ছেদ্যে অংশ। এখানে চিন নামকরণ করতে পারে না। তবে প্রশ্ন উঠছে এবার কি চিনের অধিগৃহীত আকসাই চিনের বিভিন্ন জায়গার নামকরণ করা ভারতের উচিত হবে?