বিমানে চেপে, অপ্রস্তুতিতে পড়া এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েꦕছে। এবার এক বিমান সংস্থাসে সেই ক্ষতিপূরণই দেবে। গত মাসে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বিপজ্জনক টার্বুলেন্সের কারণে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। এই তোলপাড়ের জেরে আহত হয়েছিলেন কয়েক ডজন যাত্রীও। বিমানটিতে ক্রু সদস্যসহ ২১১ জন যাত্রী ছিলেন। ঘটনার এক মাস পরে, ওই বিমান সংস্থাটি সমস্ত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ এবং বিমান ভাড়ার সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দি♔য়েছে।
গত ২১ মে সিঙ্গাপুর এয়া๊রলাইন্সের ফ্লাইট এসকিউ টার্বুলেন্সে আটকে গিয়েছিল। বিমানটি ৬২ সেকেন্ডের জন্য টার্বুলেন্সে আটকে ছিল এবং এই সময় প্লেনটি প্রথমে উপরে উঠে গিয়েছিল। তারপর এটি অত্যন্ত 🐻দ্রুত নীচের দিকে নেমে এসেছিল। আর এই ধকলই নিতে পারেননি যাত্রীরা। ৭৩ বছর বয়সী ব্রিটিশ যাত্রী জিওফ কিচেন এই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন, তিনি ছাড়াও অন্যান্য যাত্রীরাও মাথায় ও মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন।
টার্বুলেন্সের কারণে বিমানটি ৩১,০০০ ফুট উপরে পৌঁছে গিয়েছিল
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পাইলট জানিয়েছিলেন, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে বিমানটি দ্রুত ওপরে উঠলে সিটে বসে থাকা অবস্থায় যাত্রীদের উপর ব্যাপক চাপ পড়েছিল। এর পর বিমানটি দ্রুত নীচে নামতে শ𒁃ুরু করলে যাত্রীদেꦍর মাথা বিমানের সিলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা মেরেছিল। এরপর দ্বিতীয়বার একই কাণ্ড ঘটেছিল। এতে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যাত্রীরা। এদিকে আতঙ্কের কারণে এক ব্রিটিশ যাত্রী ব্রিটিশ জিওফ্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন এবং অনেক যাত্রী আহত হয়েছিলেন। এমনই অস্থিরতার পর পাইলট মেডিকেল ইমার্জেন্সি ঘোষণা করে, জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করিয়েছিলেন।