বগটুইকাণ্ডের পরেই রামপুরহাটের ওই গ্রামে এসেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই টিমে প্রাক্তন আইপিএস তথা জাতীয় মুখপাত্র ভারতী ঘোষ, সাংসদ ব্রজলাল, সত্যপাল সিং, কেসি রামূর্তি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রমুখ ছিলেন। খোদ সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা পাঠিয়েছিলেন তাঁদের। মূলত সেই রাতে বগটুইগ্রামে ঠিক কী ঘটেছিল সেটাই সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তুলে আনার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। সেই সংক্রান্ত রিপোর্টই জেপি নাড্ডার কাছে তুলে দিলেন বিজেপির ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই রিপোর্টের মাধ্যমে রাজ্যে এবার কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুললেন বিজেপি নেতৃত্ব।এদিকে সেই রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু কী রয়েছে সেই রিপোর্টে? সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্যে আইনের শাসন নেই। বগটুইতে যে ঘটনা হয়েছে তা তোলাবাজির পরিণাম ছাড়া আর কিছুই নয়। রিপোর্ট প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'খুব গুরুত্ব দিয়েই আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি রিপোর্ট দেখেছেন। কীভাবে এমন একটি গণহত্যা হতে পারে তা ভেবেই উনি উদ্বিগ্ন। উনি বলেছেন পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমাদের যে মূল রিপোর্ট সেখানে আমরা রাজ্যের উপর কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করছি।' নাড্ডাজি বলেছেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্যে থেকে এই গণহত্যার একটি লজিকাল এন্ডে পৌঁছন হবে। তবে এবার বাস্তবে কী হবে সেদিকেই তাকিয়ে বাংলা।