তালিবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে এগিয়ে আসেনি বিশ্বের প্রায় কোনও তাবড় দেশই। তবে তালিবানের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে চিন, পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার খাড়া ঝুলছে তালিবানের মাথার উপর। তবে সব আর্থিক ও খাদ্য সংকট দূর করতে পথ খুঁজে পেয়েছে আফগানিস্তান। নিজেদের সরকার চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান পেতে তালিবান তাকিয়ে আছে বেজিংয়ের দিকে। এই বিষয়ে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ সরাসরি জানিয়েছেন, চিনই তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার।ভারতকে ঘিরে ধরা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে সমর্থন করার কথা জানান জাবিউল্লা মুজাহিদ। এই প্রকল্পের অধীনে চিনের তৈরি রাস্তা একদিকে পৌঁছে যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। অপরদিকে এই প্রকল্পের রাস্তা ভারতের উত্তরপূর্বের খুব কাছে দিয়ে গিয়েছে। তাছাড়া এই প্রকল্পের অধীনে বেশ কয়েকটি বন্দরও তৈরি করছে চিন। গোটা প্রকল্পটি ভারতকে যেন চতুর্দিক দিয়ে ঘিরে ধরেছে।এদিকে তালিবান মুখপাত্রের দাবি, 'আমাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনার চিন। আমাদের দেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করবে তারা। চিন আমাদের জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। আমাদের দেশে বিনিয়োগ প্রয়োজন। পুনর্গঠনের জন্য এই বিনিয়োগ পেতে চাই আমরা। আমাদের দেশে তামার খনি রয়েছে। সেই খনির আধুনিকীকরণের মাধ্যমে তা নতুন করে চালু করা সম্ভব হবে চিনের জন্য। চিনকে ধন্যবাদ। চিনের মাধ্যমে আমরা গোটা বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখব।'এদিকে তালিবানের তরফে দাবি, বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে চিন বন্দর, রেলপথ, রাস্তার বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে আফ্রিকা, ইউরোপকে জুড়তে চায় চিন। তা হলে আখেড়ে উন্নতি হবে তালিবানের। আর তাই এই প্রকল্পকে সমর্থন জানানোর কথা বলে তালিবান। যদিও এই বেল্ট রোড প্রকল্পের অধীনে থাকা চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা CPEC-এর বিরোধিতা করে এসেছে ভারত। তবে সেই চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে সমর্থন জানিয়ে ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে তালিবান।