টাঙ্গাইল শাড়ি তুমি কার? এই প্রশ্ন এখন জোরাল হয়ে উঠতে শুরু করেছে এপার এবং ওপার বাংলায়। এই টানাপোড়েনের মাঝে জিআই পণ্য হিসেবে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’কে এবার প্রাথমিকভাবে স্বীকৃতি দিল বাংলাদেশ। তবে এই স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রকের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, শিল্প–নকশা এবং ট্রেড মার্কস অধিদফতর। বুধবার টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই প্রাথমিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি জানান শিল্পমন্ত♔্রকের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। আজ, বৃহস্পতিবার এই সং🎉ক্রান্ত একটি গেজেট নোটফিকেশন জারি করা হয়েছে। টাঙ্গাইল শাড়িকে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের পণ্য জিআই হিসেবে চিহ্নিত করে।
এদিকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন করে বাংলღার হস্তশিল্প বিভাগ। এই বিশেষ সুতোয় বোনা তাঁতের শাড়ি নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের পণ্য হিসেবে দাবি করা হয় আবেদনে। ২০২৪ সালের ২ 🥃জানুয়ারি জেনিভার ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (উইপো) সেই দাবিকে মান্যতা দেয়। ব্যস, তখনই টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করে। সমস্যা শুরু হয় সেখান থেকেই। বাংলাদেশ এবার টাঙ্গাইল শাড়ির ‘পেটেন্ট’ পেতে জিআই পণ্য হিসেবে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’কে প্রাথমিকভাবে স্বীকৃতি দিল।
অন্যদিকে বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রকের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, শিল্প–নকশা এবং ট্রেড মার্কস অধিদফতরের অফিসাররা জানান, টাঙ্গাইলের জেলাশাসক ক𝐆ায়ছারুল ইসলাম ইমেইল করে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেন। এমনকী প্রয়োজনীয় তথ্য, প্রমাণ এবং নথি পাঠিয়েছেন তিনি। অফিসাররা জানান, আজ বৃহস্পতিবার বিজি প্রেসের ওয়েবসাইটে গেজেট নোটিফিকেশন জার্নাল আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর দু’মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়কালের মধ্যে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আপত্তি না জানায়, তাহলে জেলাশাসক চূড়ান্ত সার্টিফিকেট পাবেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াই রা❀জ্য বাজেট শুরু, সং🃏বিধান বহির্ভূত নয় বলেই ব্যাখ্যা বিমানের
এছাড়া বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে যাঁদের হাত ধরে এই শাড়ি প্রকাশ্যে এসেছিল তাঁরা প্রায় সকলেই বসাক সম্প্রদায়ের। দেশভাগের জেরে তাঁদের অধিকাংশই চলে আসেন পশ্চি🀅মবঙ্গে। বসবাস শুরু করেন নদিয়ার ফুলিয়ায়, পূর্ব বর্ধমানের ধাত্রীগ্রাম, সমুদ্রগড়ে। এই জায়গাগুলিই হয়ে ওঠে টাঙ্গাইল শাড়ির কেন্দ্র। টাঙ্গাইলের জিআই ট্যাগ পেতেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় তাঁতিদের শুভেচ্ছাবার্তা ও অভিনন্দন জানান। সেটি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হলে তেড়েফুঁড়ে ওঠে বাংলাদেশ প্রশাসন। এই বিষয়ে জিআই বিভাগের কর্তা নীহাররঞ্জন বর্মণ বলেন, ‘ডব্লিউআইপিও একটি নিয়ম মেনে চলে। সেটা অনুযায়ী জার্নাল প্রকাশের পর দু’মাস অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের অফিস থেকে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই দু’মাসের মধ্যে তৃতীয় কোনও পক্ষ আপত্তি না করলে জিআই সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।’