একলা পথ চলার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল তারা🍌। এবার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ প্রকাশ করল তিপ্রা মোথা। ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে কোনও দলের সঙ্গে জোট করেনি রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মার পার্টি তিপ্রা মোথা। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যুকে সামনে রেখেই এই ভিশন ডকুমেন্ট বা ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এখানে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ভিশন ডকুমেন্ট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন এই ভিশন ডকুমেন্ট তাৎপর্যপূর্ণ? এই꧑ ভিশন ডকুমেন্টে ১৫০ দিনে ১৫টি মিশন শেষ করার প্🐈রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা যদি তাঁর দলকে নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে এই মিশন করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ভিশন ডকুমেন্টে। এই ইস্তেহার প্রকাশের পর তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমার পার্টি লড়াই করে যাবে আদিবাসীদের অধিকারের জন্য। আর আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য স্থায়ী সাংবিধানিক সমাধান দাবি করা হবে।’
আর কী বলা আছে ভিশন ডকুমেন্টে? শনিবার এই ভিশন ডকুমেন্ট প্রকাশ করা হয়। কিন🀅্তু তখনও বিষয়টি নিয়ে কেউ ভাবেনি। আজ, রবিবার থেকে ত্রিপুরায় এই ইস্তেহার নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ এখানে রয়েছে—নাগরিক সমস্যা জেনে তার দ্রুত সমাধান, ২০ হাজার নতুন চাকরি, সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বঞ্চিত মানুষজনকে জমির পাট্টা, বিধানসভায় বিল এনে আদিবাসীদের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি🌸 করা, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। তবে সিএএ’র বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব নিয়ে আসা হবে। সরকারি প্রকল্পকে দুয়ারে নিয়ে আসার কথাও এখানে বলা হয়েছে।
ঠিক কী বলছেন প্রদ্যোৎ? এদিন তাঁর ভিশন ডকুমেন্টে আদিবাসীদের আর্থ–সামাজিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে ২১টি প্রধান ক্ষেত্🐼রকে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি, নারী–শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা য🍃েমন গড়ে তোলা হবে, তেমনি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। আর তিপ্রা মোথা ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক সংস্কৃতিও পাল্টাবে। আমরা কোনও সরকারকে সমর্থন করব না যতক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ী সাংবিধানিক দাবি লিখিত আকারে পাচ্ছি। তার থেকে বিরোধী আসনে বসতে পছন্দ করব। কয়েকটি মন্ত্রীর পদ পেয়ে আমরা দাবি থেকে সরে আসব না।’