নারীদের উপর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আক্রমণ, অভব্য আচরণ এবং অশ্লীল ব্যবহার করলে কড়া শাস্তি চান দেশের মানুষজন। এবার এই বিষয়টিকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্ಌরেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ধর্ম, বর্ণ বা যৌনতার ভিত্তিতে অনলাইনে মহিলাদের উপর হিংসামূলক আচরণ এবং অবমাননাকর কাজকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করার জন্য ত🍒থ্যপ্রযুক্তি আইন সংশোধন করার জন্য একটি প্রাইভেট মেম্বার বিল উত্থাপন করেছেন। এই বিলে ডেরেক মহিলাদের বিরুদ্ধে অনলাইনে হুমকিকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসাবে প্রস্তাব করেছেন। যার জন্য কমপক্ষে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
এদিকে মহিলাদের পঞ্চায়েতে সংরক্ষণ থেকে শুরু করে লোকসভায়⛎ ৩৩ শতাংশের বেশি মহিলা প্রতিনিধি পাঠানোর কাজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই বিলটি উত্থাপন করে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘অনলাইনে মহিলাদের উপর ধর্ম, বর্ণ বা যৌনতার ভিত্তিতে শারীরিক, যৌন এবং মানসিক হিংসার হুমকিকে শাস্তি দেওয়ার জন্য তথ্য প্রযুক্তি আইন সংশোধন করা প্রয়োজন।’ এই বিলে অনলাইনে হুমকির শিকার হওয়া নির্যাতিতা অভিযোগ করলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা কোনও কোম্পানি, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কনটেন্ট মুছ🦂ে ফেলতে হবে। আর তার সংরক্ষণ, পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে অভিযোগের একদিনের মধ্যে বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এমনকী পদক্ষেপ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে এই বিলে বলা হয়েছে, কোনও নারীকে ভয় দেখানো বা অসম্মানিত করা, কোনও নির্দিষ্ট মতামত, পর্যবেক্ষণ প্রকাশে বাধ্য করা বা বিরত থাকতে বাধ্য করার মতো কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা 🃏হবে। এমনকী তার মধ্যে রয়েছে—শারীরিক হিংসর হুমকি, যৌন নিপীড়ন, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো, মিথ্যা মামলা, কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার হুমকি বা ভারতের প্রতি আনুগত্যহীনতার অভিযোগ আনা এবং ধর্ম, বর্ণ বা যৌনতার ভিত্তিতে নির্যাতন। শারীরিক হিংসর মধ্যে রয়েছে, আক্রমণ, সাধারণ আঘাত, গুরুতর আঘাত, অপহরণ, হত্যার চেষ্টা এবং হত্যা।
আরও পড়ুন: ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান স🌠ুরেশ আগরওয়াল, আস্থাভোটে প্রাক্তনই জয়ী হলেন
এছাড়া যৌন নিপীড়ন করার অর্থ—ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি বা এমন কোনও কাজ যা কোনও মহিলার শারীরিক বিষয়টি সমস্যা করে। হুমকি বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে— শব্দ, অঙ্গভঙ্গি বা কোনও অডিয়ো ভিস্যুয়াল যোগাযোগের মাধ্যমে কোনও অভিব্যক্তি যেটা কিনা 🌊কোনও ক্ষতি, উদ্বেগ, ভয় দেখানো বা হয়রানি করার জন্য প্ররোচিত করে। প্রথম অপরাধের জন্য তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথব🌠া ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধের জন্য সাত বছর পর্যন্ত জেল বা চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। বিলে পরবর্তী প্রত্যেকটি অপরাধের জন্য ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে জরিমানার অর্থ নির্যাতিতাকে দিতে বলা হয়েছে।