২০২১ সা🍎লের বিধানসভা নি𒊎র্বাচনের পর থেকেই ‘একলা চলো’ নীতি অবলম্বনে হাঁটছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গত বর্ষকালীন সংসদীয় অধিবেশনেও বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবারের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গের ডাকা বৈঠকে যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে আজকের বৈঠকে যোগ দিয়েছিল আম আদমি পার্টিও।
এর আগে কংগ্রেসের তরফে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিরোধী প্রার্থী ঘোষণার সময়ও তৃণমূল বিরোধীদের সঙ্গ দেয়নি। ধারাবাহিক ভাবে ক🐟ংগ্রেসের ডাকা বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী পরিসরে কংগ্রেসের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। তবে এরই মাঝে এবার শীতকালীন অধিবেশনের আগে পথ বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্যে পরপর দুর্নীতির অভিযোগে জড়িয়ে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে জাতীয় স্তরে ভাবমূꦜর্তি বজায় রাখতে মরিয়া মমতা। এদিকে সংসদে নিজেদের নীলনকশা তৈরির জন্য আজ দুপুরে সৌগত রায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসবে তৃণমূলের সংসদীয় দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে সাংসদদের আগামীর পথ বাতলে দেবেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আসন্ন সংসদের অধিবেশনে জনস্বার্থ সম্পর্কিত কোন কোন বিষয়গুলিকে আরও গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হবে সেটা নিয়েই আজ সাংসদদের পাঠ পড়াবেন মমতা।
তাছাড়া সংসদের অধিবেশনে তৃণমূল কীভাবে বিজেপি বিরোধী আওয়াজ তুলে ধরবে, তারও নীলনকশা এঁকে দেবেন মমতা। ২০২১ সালে বাংলায় বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পর তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য এখন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। তবে সাম্প্রতিককালে পরপর দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তিতে ধꩵাক্কা লেগেছে।
ঘাসফুল সূত্রে খবর, এই অধিবেশনে তৃণমূল কর্মসংস্থান নিয়ে সরব হতে পারে। পাশাপাশি রাজ্যের বকেয়া বরাদ্দ মেটানো, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী স🐓ংস্থাগুলির অতি-সক্রিয়তা নিয়েও তৃণমূল তোপ দাগতে পারে বিজেপিকে। এদিকে তৃণমূলের দিল্লি বৈঠকে ব্রাত্যই থাকছেন শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী।