🍸 কিছুদিন আগেই ভাইরাল হয়েছিল সেই দৃশ্য। তা ক্যামেরাবন্দিও হয়। দেখা যায়, মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের ছেলে এক্স ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওভাল অফিসে দাঁড়িয়ে নাকে ক্রমাগত আঙুল দিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, সেই ঘটনায় কি মাস্কের ছেলে নাক খুঁটছিল? এদিকে, ইলন-পুত্রের এহেন আচরণের সময় তার দিকে ট্রাম্পের চাউনির ছবিও হয় ভাইরাল। সব মিলিয়ে এই চর্চিত কাণ্ডের পর ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে সরে গেল ‘রেজোলিউট ডেস্কটি’। উল্লেখ্য, ইলন মাস্কের ছেলেকে এই ডেস্কের কাছে দাঁড়িয়ে নাক খুঁটতে দেখা যায়!
ꦉইলন মাস্কের ৪ বছরের ছেলের নাক-খোঁটা কাণ্ডের পরই কেন ট্রাম্পের ওভাল অফিস থেকে সরে গেল ১৪৫ বছরের পুরনো এই রেজোলিউট ডেস্ক? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছেন। এদিকে, ট্রাম্প তাঁর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, এই রদবদল ‘সাময়িক’। যা ঘিরেও নেটপাড়ায় প্রশ্নের অন্ত নেই। তবে সেই শতাধিক বছরের পুরনো ঐতিহাসিক ডেস্ক পাল্টে নতুন ডেস্ক এনে তার ছবিও পোস্ট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অফিস থেকে ১৪৫ বছরের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত ডেস্ক সরিয়ে সেই জায়গায় C&O ডেস্ক নিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। তাঁর এক পোস্টে তিনি লেখেন,' নির্বাচনের (আমেরিকায়) পর একজন প্রেসিডেন্ট ৭ টির মধ্যে একটি ডেস্ক পছন্দের সুযোগ পান। এই C&O ডেস্ক খুবই পরিচিত একটি ডেস্ক। এটি ব্যবহার করেছেন জর্জ এইচ ডাব্লিউ বুশ ও অন্যান্যদের দ্বারা। এটি সাময়িকভাবে আনা হল হোয়াইট হাউসে।' উল্লেখযোগ্যভাবে ট্রাম্প লিখছেন, ‘এটি সাময়িক রদবদল’।
📖রিপোর্ট বলছে, ট্রাম্প নিজেকে এই কয়েক দিনে ‘জার্মফোবিক’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। সেই জায়গা থেকে তাঁর এই ডেস্ক পরিবর্তন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকেই মনে করছে। এবার আসা যাক ডেস্ক-বদল পর্ব থেকে ডেস্কের ইতিহাসে। যে ডেস্কটি ট্রাম্পের অফিস থেকে সরানো হয়েছে তার নাম রেজোলিউট ডেস্ক। ১৮৮০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাদারফোর্ড বি হায়েসকে বন্ধুত্বের স্মৃতি হিসাবে ওই ডেস্ক উপহার দেন রানি ভিক্টোরিয়া। ব্রিটিশ জাহাজ এইচএমএস রেজোলিউটের ওক কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে এই ডেস্ক। সেই থেকেই ডেস্কের নাম রেজোলিউট। এদিকে, সদ্য আমেরিকার ওভাল অফিসের অন্দরে এক প্রেস কনফারেন্স করছিলেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। সেই সময় তিনি সঙ্গে আনেন তাঁর ৪ বছরের ছেলে এক্সকে। এই ঐতিহাসিক রেজোলিউট ডেস্কের কাছে দাঁড়িয়ে এক্সকে নাক খুঁটতে দেখা যায়। সেদিকে নজর পড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তারপরই এই রদবদল।