আবার নির্মম ঘটনা ঘটল দেশে। আর তার জেরে উত্তাল হয়ে উঠল গোটা দেশ। নির্ভয়া ঘটনার পর আবার পাশবিক নির্যাতনের শিকার হল ১২ বছরের মেয়েটি। শরীরে তখন তার একাধিক আঘাত। গোপানাঙ্গ ജথেকে ঝরছে রক্ত। অর্ধনগ্ন অবস্থায় মেয়েটি তখন সাহায্য চাইছে দরজায় দরজায়। ১২ বছরের ‘ধর্ষিতা’ কন্যাকে কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল না। হাসপাতালে নিয়ে গেল না কেউ। এমনকী পুলিশেও খবর দিল না কেউ। বরং ৫০/১০০ টাকা ভিক্ষা দিয়ে দায় এড়িয়েছে সকলে। এমন নির্মম ঘটনা ঘটেছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? ধর্ষিতা হয়ে যখন মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল তখন তাকে ৫০–১০০ টাকা দিয়ে সরে গিয়েছিল। গত ২৫ সেপ্টেম্বরে এমনই নির্মম ঘটনা ঘটেছে ১২ বছরের মেয়েটির সঙ্গে। মধ্যপ🐽্রদেশের উজ্জয়িনীর ঘটনায় এখন শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। কারণ সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া সেই ছবি এখন ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতেই ডুগড়ে উঠেছে ভারতবাসী। অথচ উজ্জয়িনীর মানুষজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি! অবাক করার মতো লাগলেও বাস্তবে এটাই ঘটেছে। মধ্যপ্রদেশের সরকার এই ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
ঠিক কী বলছে পুলিশ? এই ঘটনার পর এক আশ্রমের পুরোহিত দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। উজ্জয়িনী পুলিশের শীর্ষ কর্তা সচিন শর্মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এই এলাকায় কোনও বাসিন্দা নির্যাতিতা মেয়েটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। বদলে তার হাতে কেউ ৫০, কেউ ১০০ টাকা ধরিয়েছে। মোট ১২০ টাকা ভিক্ষা দেওয়া হয় মেয়েটিকে। মেয়েটিকে রক্তাক্ত ও অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ ৫০ টাকা, কেউ ১০০ টাকা দিয়ে সরে পড়েছেন। টোল বুথগুলিতে গিয়েও সাহায্য চায় মেয়েটি। সেখানে তাকে কিছু পোশাক দেওয়া হয়। এমনকী সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়🌄েছে, এক ব্যক্তি তাকে তাড়িয়ে দেয়।’ এমন নির্মম ঘটনার বর্ণনা শুনে অনেকের বুক কেঁপে উঠেছে।
আরও পড়ুন: 🍷চোখে পেরেক🅘 ঢুকিয়ে অন্ধ করেছিল প্রেমিক, দৃষ্টিহীন তরুণী এখন ট্রেনের ঘোষিকা
তারপর ঠিক কী ঘটল? অবশেষে এই ঘটনাটি দেখে এগিয়ে আসেন ওখানের আশ্রমের পুরোহিত রাহুল শর্মা। তিনিই ওই নির্যাতিতা মেয়েটিকে আশ্রমের গেটে দেখতে পেয়ে পোশাক দেন এবং পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এসে ওই মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই পুরোহিত খাবারও খেতে দেন। মহাকাল পুলিশ স্টেশন থেকে পুলিশ এসে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়🐻ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করে। তখনই নিশ্চিত হওয়া যায় মেয়েটি ধর্ষিতা হয়েছে। মারাত্মক জখম ছিল মেয়েটি। আর মেয়েটিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি খুব বিপদে পড়েছি। আমার পিছু নিয়েছে কেউ। আমায় বাঁচান।’ এই ঘটনার পর অবশ্য এক অটোচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও তিনজﷺন অটোচালককে আটক করা হয়েছে। ধৃত চালকের অটোতে রক্তের ছাপ মিলেছে। সেটার ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।