'আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট' বা ইউএফও নিয়ে মꩵার্কিন মুলুকে বিস্তর হইচই হ💟লেও সরকারিভাবে আমেরিকার প্রশাসন, পৃথিবীর আকাশে অজানা ভিনগ্রহীদের দ্বারা চালিত কোনও মহাকাশযানের আগমনের ঘটনায় সিলমোহর দিতে নারাজ।
যদিও তাদের বক্তব্য, কোনও নির্ভরযোগꦺ্য সূত্র ইউএফও দেখ🍌া নিয়ে কোনও তথ্য না দিলেও একাধিক 'আনআইডেন্টিফায়েড অ্যানোমেলাস ফেনোমেনা' (ইউএপি) বা 'অপরিচিত ব্যতিক্রমী ঘটনা'র খবর তারা পেয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন সেনেটে এই বিষয়ে মুখ খোলেন পেন্টাগনের 'অল-ডোমেন অ্যানোমালি🔯 রেসোলিউশন অফিস' (এএআরও বা আরো)-এജর ডিরেক্টর জন টি কসলোস্কি। তিনি জানান, তাঁরা ইউএপি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন।
গত ১৯ নভেম্বর এই 🎀বিষয়ের উপর মার্কিন সেনেটের সশস্ত্র পরিষেবাসমূহ সাবকমিটির সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করেন কসলোস্কি। তিনি জানান, পৃথিবীর বাইরেও প্রাণ রয়েছে বলে মাঝেমধ্যেই যে দাবি নানা মহলের তরফে করা হয়, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তারা অন্তত কোনও তথ্য সংগ্রহ করে উঠতে পারেনি।
তাদের কাছে এলিয়েন প্রযুক্তিরও কোনও প্রমাণ ন🌳েই। তবে, একথা ঠিক যে সেনাবাহিনীর অসংখ্য কর্মী ও আধিকারিক এমন সব ঘটনার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন, যার কোনও পরিচিত ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
কসলোস্কি জানিয়েছেন♌, তাঁর কার্যালয় সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি ঘটনা বিজ্ঞানসম্মতভাবে এবং সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করছে। এক্ষেত্রে সমুদ্র, আকাশ এবং মহাকাশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলির কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অমীমাংসিত ইউএপিসমূহ:
সরকারি আধিকারিক ও সেনার সদস্যরা এ🎐ত বছর ধরে যেসমস্ত অদ্ভূত ঘটনা সম্পর্ক রিপোর্ট করেছেন, সেগুলির সত্যাসত্য যাচাই করতেই ২০২২ সালে আরো প্রতিষ্ঠা করা হয়। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, আমাদের জানা বিভিন্ন বিষয় বা বস্তু - যেমন - পাখি, ড্রোন, বেলুন-সহ বিভিন্ন বস্তুকে অজানা বস্তু বলে ভাবা হয়েছিল।
কিন্তু, এর অর্থ এই নয় যে সমস্ত 'অপরিচিত ব্যতিক্রমী ঘটনা' বা ইউএপি-র কারণ জানা সౠম্ভব হয়েছে। বরং, সেগুলির অধিকাংশেরই আজও কোনও ব্যাখ্যা, কারণ বা সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি! স্পেস ডট কমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ উল্লেখ করেছেন আরো-র ডিরেক্টর। মার্কিন সেনেটে তিনি বলেন, 🗹২০১৩ সালে একটি ইউএপি ঘটেছিল পুয়ের্তো রিকোয়। অজ্ঞাত কোনও একটি বস্তুকে সমুদ্♉রের মাঝে দেখা গিয়েছিল এবং সেটি সমুদ্রেই অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। অন্তত যাঁরা সেই দৃশ্য দেখেছিলেন, তাঁরা তেমনটাই দাবি করেছিলেন।
কিন্তু, আরো-র তদন্তকারীরা বলছেন, ওই ঘটনা আদতে 'অপটিক্যাল ইলিউশন' বা দৃষ্টিভ্রম🦹। আসলে যে ক্যামেরায় ওই ঘটনার ছবি তোলা হয়েছিল, সেটি সংশ্লিষ্ট বস্তুর পরিবেশ থেকে গৃহীত উষ্ণতার তারতম্যের মধ্যে ফারাক করতে পারেনি। সেই কারণেই ওই দৃশ্য অবাস্তব মনে হয়েছিল।
আরো-র তরফে ২০২৪ সালে যে রিপোর্ট ♔প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোট ৪৮৫টি ইউএপি-র প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১১৮টির মীমাংসা করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। ১৭৪টি ঘটনার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত চূড়💞ান্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়নি।
কসলোস্কি আরও জ༺ানিয়েছেন, এই ধরনের কোনও ঘটনার নেপথ্যেই বিদেশি কোনও শক্তির কলকাঠি নাড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।