দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ভি কে শশিকলার ফের এআইএডিএমকে-তে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন তামিল নাডুর মুখ্যমন্ত্রী এডাপাড্ডি পালানিস্বামী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার সেরে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে পালানিস্বামী বলেন, ‘ওঁর দলে যোগ দেওয়ার কোনও সুযোগই নেই। তিনি এআইএডিএমকে দলে নেই।’আগামী ২৭ জানুয়ারি জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন শশিকলা। তার জেরে প্রশ্ন ওঠে, প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীজয়ললিতার কদা ঘনিষ্ঠ নেত্রীকে দলে নেওয়ার জন্য এআইএডিএমকে-এর উপরে বিজেপি চাপ তৈরি করছে কি না। অন্য দিকে, শশিকলার সমর্থকরা বর্তমানে তাঁর ভাইপো টি টি ভি দিনকরণের দল আম্মা মাক্কাল মুন্নেত্রা কাঝাগম-কে (এএমএমকে) সমর্থন করেন। পালানিস্বামী বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। তামিল নাডুর বেশির ভাগ মানুষই এআইএডিএমকে-তে ফিরে এসেছেন। কয়েকজন আছেন দিনকরণের সঙ্গে। দীর্ঘ দিন ধরে আম্মা (জয়ললিতা) তাঁকে সরিয়ে রেখেছিলেন।’মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরেই এআইএডিএমকে সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, ২৭ জুলাই চেন্নাইয়ের মেরিনা সৈকতে ৭৯ কোটি টাকা মূল্যে নির্মিত জয়ললিতার সমাধিসৌধের উদ্বোধন করবেন পালানিস্বামী। ওই দিনই বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন শশিকলা।কখনও নির্বাচনে লড়ার অভিজ্ঞতা না থাকলেও তামিল রাজনীতিতে এক সময় নেপথ্যে থেকে ক্ষমতার রশি নিজের হাতে রেখেছিলেন শশিকলা। জয়ললিতার মৃত্যুর পরে অল্প সময়ের জন্য হলেও এআইএডিএমকে-এর নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁরই হাতে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী পদেও তাঁর অভিষেক ঘটতে চলেছিল যদি না শেষ মুহূর্তে বিদ্রোহ ঘোষণা করতেন পনিরসেলভম। দলের দুই গোষ্ঠীকে একজোট করে তিনিই শশিকলা ও দিনকরণকে এআইএডিএমকে থেকে বহিষ্কার করেন। এর পরেই হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ড হয় শশিকলার। ২০১৭ সাল থেকে তাঁর ঠিকানা হয় বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় কারাগার। মঙ্গলবার তাঁর আইনজীবী রাজা সেন্থুর পান্ডিয়ান জানান, বেঙ্গালুরু কারাগার কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়েছেন, শাস্তির মেয়াদ সম্পূর্ণ হওয়ার ফলে ২৭ জানুয়ারি সকালে জেল থেকে শশিকলাকে মুক্তি দেওয়া হবে।