মধ্যবিত্ত ভোটারদের মন জয় করতে আজ একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরই মধ্যে আজ দলিত এবং ওবিস꧃িদ💞ের ওপর বিশেষ নজর দিয়ে বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ মোদী জানান, আগামী বিশ্বকর্মা জয়ন্তীতে কারিগরদের জন্য নয়া প্রকল্প চালু করা হবে। তাদের বেশিরভাগই ওবিসি সম্প্রদায়ের। এই প্রকল্পের নাম হবে 'বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান যোজনা'। এই স্কিমের জন্য বরাদ্দ করা হবে ১৩ হাজার কোটি টাকা। স্বর্ণকার, ধোপা, নাপিত, রাজমিস্ত্রির কাজ করা ব্যক্তিরা এই প্রকল্পে লাভবান হবেন বলে জানান মোদী। উল্লেখ্য, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর হল বিশ্বকর্মা পুজো। সেদিনই এই প্রকল্প চালু হওয়ার কথা।
প্রধানমন্ত্রীর ꧑কথায়, 'কোটি কোটি হাত যদি কোটি কোটি স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ শুরু করে, তাহলে আমরা আমꦰাদের লক্ষ্যে পৌঁছব। আমরা ১ হাজার বছর গোলামি সহ্য করেছি। তবে আগামী এক হাজার বছরের জন্য ভারতকে সমৃদ্ধ করতে হবে। হারানো সেই সমৃদ্ধিকে ফিরে পেতে হবে। আমরা যাই করব, তা আগামী এক হাজার বছরের জন্য দেশের ভাগ্য লিখবে।' দেশের স্টার্টআপ 'বুম' নিয়ে মোদী বলেন, 'বিশ্বের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে ভারত তৃতীয় স্থানে। বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর। ভারত সেই ক্ষেত্রে অগ্রগতি করবে। কয়েকদিন আগে আমি জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালি গিয়েছিলাম। সেখানে সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, কীভাবে ডিজিটাল ইন্ডিয়া সফল হল। আমি তাদের বলেছি, দেশের ছোট ছোট শহরের যুব সমাজও এগিয়ে এসেছেন। তাই আশা আর আকাঙ্খা এবং প্রচেষ্টার দৌলতে তারা এগিয়ে গিয়েছে।'
এদিকে গ্রামের মহিলাদের জন্যও আজ এক বড় প্রকল্পের পরিকল্পনা কথা জানান মোদী। আজ লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদী বলেন, 'আমার স্বপ্ন, দেশের গ্রামে গ্রামে ২ কোটি দিদি লাখপতি হবেন।' মোদী আজ বলেন, 'দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মহিলাಌরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। তাঁদের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ঘটছে। আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে, অসামরিক বিমান চলাচলে ভারতে সর্বাধিক সংখ্যক পাইলট রয়েছে। মহিলা বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান মিশনে নের্তৃত্ব দিচ্ছেন। জি ২০ দেশগুলিও গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েছে।' এরপর গ্রামের মহিলাদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে মোদী বলেন💮, 'ড্রোন চালানো এবং মেরামতির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে মহিলাদেরকে।' প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃষি ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেখানেই মহিলাদের কাজে লাগানো হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত ভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁদের আরও আত্মনির্ভর করে তোলা হবে।