ভিস্তারার আন্তর্জাতিক উড়ানে বিপত্তি। মাঝ আকাশে গরম পানীয় পড়ল এক নাবালিকা যাত্রীর গায়ে। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১১ অগস্ট। নয়া দিল্লি থেকে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টগামী উড়ানে এ💝ই ঘটনা ঘটে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মাঝ আকাশে হট চকোলেট পড়ে গিয়ে পুড়ল ১০ বছর বয়সি শিশুকন্যার শরীর। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে এই গতকাল। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে উড়ান সংস্থাটি। পাশাপাশি ভিস্তারা জানিয়েছไে, সেই নাবালিকার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ তার বাবা-মাকে দেবে সংস্থা।
ভিস্তারার মুখপাত্র এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'ইউকে ২৫ উড়ানে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছিল। উড়ানটি গত ১১ অগস্ট নয়াদিল্লি থেকে ফ্রাঙ্কফুর্টের উদ্দেশে যাত্রা করছিল। যাত্রাকালে এক নাবালিকা আহত হয়। অভিভাবকের কথায় আমাদের বিমানসেবকা সেই শিশুটিকে হট চকোলেট দিয়েছিলেন। তবে সার্ভিসের সময় সেই শিশুটির চঞ্চলতার কারণে হট চকোলেটটি তার শরীরে পড়ে যায়। এরপরই নিয়ম মেনে আমাদের কেবিন ক্রু ফার্স্ট এইড দেয় শিশুটিকে। বিমানে থ🃏াকা একজন প্যারামেডিকের থেকেও সাহায্য চাওয়া হয়। ফ্রাঙ্কফুর্টে বিমান অবতরণ করা পর্যন্ত সেই প্যারামেডিক ♛স্বেচ্ছায় অনেক সাহায্য করেন।'
এদিকে ভিস্তারার তরফে দাবি করা হয়, বিমান ফ্রাঙ্কফুর্টে অবতরণের পরে সেই শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে তারা। পরে সেই শিশুর অভিভাবককে সংস্থা জানায়, চিকিৎসার যাবতীয় খরচ ভিস্তারা তাদেরকে ফিরিয়ে দেবে। এদিকে ভিস্তারা এই দাবি করলেও আহত শিশুর অভিভাবক অভিযোগ করছেন, কেবিন ক্রু-এর অসাবধনতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে সেই শিশুর অভিভাবক বলেন, 'অসাবধনার জেরে স্লিপ করে আমার মেয়ের গায়ে হট চকোলেট ফেলে দেন কেবিন ক্রু। তার সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন হয়♉েছে।' এদিকে অভিভাবকের অভিযোগ, পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমসিম খায় কেবিন ক্রু। তাদের কাছে নাকি ক্ষমাও চাওয়া হয়নি। তবে ভিস্তারা দাবি করছে, ঘটনার পর থেকেই শিশুর অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে তারা। তাদের তিনজনকে আগেভাগেই ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়েও তৎপর উড়ান সংস্থা। ফ্রাঙ্কফুর্টে নাকি গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছিল সেই পরিবারকে। এদিকে ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে দিকে নজর রাখার কথা জানিয়েছে ভিস্তারা।