বাড়ি থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে একটি ডাস্টবিন। মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভে গিয়ে ১৫ দিনের শিশুকে ফেলে এসেছিলেন মা। শেষমেশ তদন্তকারীরা খুঁজে বের করলেন সেই মাকে। থানে জেলার খাদাভলি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হল ২২ বছর বয়সী সেই যুবতীকে।লিশের একটি টিম ওই যুবতী এবং তাঁর দাদাকে গ্রেপ্তার করে। তার আগে শিশুটির মায়ের খোঁজে ১২ দিন ধরে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়েছিল।জেরায় তরুণী পুলিশকে বলেন, বিহারে তাঁর গ্রামের বাড়ি। সেখানে পরিবারের চাপে তাঁকে দ্বিগুণ বয়সী একজন পুরুষকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই কারণে বিয়ের কয়েক মাস পরে, তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যান। তাঁর দাদা তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। তাঁরই সাহায্যে ওই তরুণী মহারাষ্ট্রে আসেন। খাদাভলিতে থাকতেন তিনি।মুম্বইতে আসার অনেক পরে তিনি আবিষ্কার করেন যে তিনি গর্ভবতী। তবে সেই সময়েই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মহারাষ্ট্রে তার বয়সী কারও সঙ্গে থিতু হতে চেয়েছিলেন ওই যুবতী, জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিক।গত ১৭ এপ্রিল উলহাসনগরের একটি সরকারি হাসপাতালে ওই মহিলা সন্তানের জন্ম দেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই নবজাতককে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আঁটতে শুরু করেন।এবারও তাঁর ভাই তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তিনিই তাঁকে মেরিন ড্রাইভে নিয়ে যান। যেখানে তাঁরা শিশুটিকে মেঘদূত ফ্লাইওভারের নিচে একটি ডাস্টবিনের কাছে রেখে আসেন।দুজনেরই দাবি, মুম্বইতে স্বচ্ছল পরিবারের অভাব নেই। তাঁদের আশার ছিল, তাঁদেরই কেউ এই শিশুকে দত্তক নেবেন। শিশুটির কোনও সমস্যা হবে না।পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে ডংরির শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। দুই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের ১০,০০০ টাকায় জামিন করা হয়। যদিও সেই টাকা দিতে না পারায় তাঁদের আপাতত কারাবন্দিই থাকতে হবে।