꧃বাংলাদেশের বিভিন্ন ডিজিটাল বোর্ডে নানা সময়ে নানা ধরনের লেখা ফুটে উঠেছে। এনিয়ে নানা সময় নানা বিপত্তি হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এনিয়ে অশান্তিও হয়েছে। এমন কিছু লেখা অতীতে ফুটে উঠেছে যা নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি।
এবার সিলেটের গোলাপগঞ্জে একটি শপিংমলের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে আচমকাই লেখা ফুটে ওঠে চাচা হাসু আপা কোথায়?…কাছে পালিয়ে গেছে…এদিকে এই ডিজিটাল বোর্ডে🎃র ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে।
🍌ওই শপিং মলের নাম কুশিয়ারা শপিং কমপ্লেক্স। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারের পাশে একটি ডিজিটাল সাইনবোর্ডে লেখা ছিল চাচা হাসু আপা কোথায়? এরপরই পাশে লেখা ছিল….কাছে পালিয়ে গেছে। এরপরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এই ডিজিটাল বোর্ডের লেখা।
🐬এনিয়ে ওই সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারের পরিচালক( টেকনিকাল) মারজান সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ডিজিটাল সাইনবোর্ডটি কে বা কারা হ্যাক করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই কারণে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। এনিয়ে গোপালগঞ্জ থানায় আলোচনা হয়েছে। থানায় জেনারেল ডায়েরি করার প্রস্তুতি চলছে।
𝐆এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন বন্ধ ছিল ওই শপিংমল। এরপর রাত ১১টা নাগাদ ওখানকার ব্যবসায়ীদের কয়েকজন থানায় আসেন। তারা জানিয়েছেন, ডিজিটাল সাইনবোর্ড হ্যাক করে এই লেখা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে শপিংমলের কেউ যুক্ত নন। এমন যাতে আর না হয় সেটা দেখা হচ্ছে।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বাংলাদেশে🍒র বিভিন্ন ডিজিটাল বোর্ডে নানা ধরনের আপত্তিকর লেখা ফুটে উঠেছিল।
🅘এর আগে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশের একটি বেসরাকরি হাসপাতালের ডিজিটাল বোর্ডে ফুটে উঠেছিল লেখা আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। এবার বাংলাদেশের নোয়াখালির একটা বেসরকারি হাসপাতালের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ফুটে উঠেছিল লেখা। এরপরই তুমুল শোরগোল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, একেবারে জ্বলজ্বল করছে লেখা, জয় বঙ্গবন্ধু। রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ নোয়াখালির জেলা শহর মাইজদির একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডিজিটাল বোর্ডে এই ঘটনা হয়েছিল বলে খবর।
🌊এর আগে কমলাপুর এবং খুলনা রেল স্টেশনের প্রবেশ মুখে দুবার ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে বিতর্কিত বিষয় দেখা গিয়েছিল। গত ২৬ অক্টোবর সকালে কমলাপুর স্টেশনের প্রবেশপথের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ‘আওয়ামী লিগ জিন্দাবাদ’ লেখা ভেসে উঠেছিল।