পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে অবস্থানরত চিনা সৈন্যদের সাথে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সম্প্রতি কথা বলেন চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। সেই ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নিযুক্ত সৈন্যদের যুদ্ধ প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন তিনি। শুক্রবার চিনা সরকারি মিডিয়া এই রিপোর্ট প্রকাশ করে। শিনজিয়াং মিলিটারি কমান্ডের অধীনে খুঞ্জেরাবের সীমান্ত প্রতিরক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সদর দফতর থেকে সৈন্যদের উদ্দেশে বক্তৃতা করেন শি জিনপিং। (আরও পড়ুন: 'PoK হোক কি পাকিস্তান, কেউ যাতে খিদেতে♐ মারা না যায়', ম📖ঙ্গল কামনা রাজনাথের)
পিএলও জওয়ানদের উদ্দেশে চিনের সর্বোচ্চ নেতღা বলেন, 'বিগত বেশ কয়েক বছরে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি পুরোপুরি পালটে গিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সেনার ওপরও।' এদিকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমেই সেনাদের 'যুদ্ধ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন' শি জিনপিং। এক সেনা জওয়ান চিনা রাষ্ট্রপতিকে বলেন, 'আমরা ২৪ ঘণ্টা সীমান্তের ওপর নজরদারি চালাচ্ছি।' এদিকে রুক্ষ প🅰রিবেশে সেনারা তাজা সবজি পাচ্ছেন কি না, তা জিজ্ঞেস করেন শি জিনপিং। চিনা সরকারি মিডিয়া জানিয়েছে, সীমান্ত নিযুক্ত সেনাদের সীমান্ত টহল ও প্রস্তুতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন শি জিনপিং। পাশাপাশি সৈন্যদের 'সীমান্ত প্রতিরক্ষার মডেল' হিসাবে প্রশংসা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেকায়। এই আবহে গতবছর ডিসেম্বরে চিনের ৩০০ সৈন্য অরুণাচলপ্রদেশে তাওয়াঙের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এসে গিয়েছিল। পরে ২০ ডিসেম্বর লাদাখের চুশুলে দুই দেশের সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। এই নিয়ে সেনা পর্যায়ে মোট ১৭টি বৈঠক হয়েছে ভারত ও চিনের। এই বৈঠকগুলির ফলে কোথাও কোথাও শান্তি ফিরেছে। তবে সার্বিক ভাবে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এখনও সামগ্রিক সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। বর্তমানে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই দিকেই ভারত-চিনের সমসংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে। রুডগ ঘাঁটি, প্যাংগং সোর দক্ষিণে এবং জি🀅নজিয়াং সামরিক অঞ্চলের জিয়াদুল্লাতে মোতায়েন রয়েছে চিনের আর্মরড এবং রকেট রেজিমেন্টগুলি। ডেমচোক এবং জিনজিয়াংয়ের হোতান এয়ারবেসে তাদের যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে পিএলএ🧜 এয়ার ফোর্স।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক