ডার্বির গণ্ডি ছাড়িয়ে লড়াইটা অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে চলে যায়। কখনও কখনও শিকড় নিয়ে আক্রমণ শানানো হয়। তা নিয়ে এবার তীব্র ক্ষোভপ্ꦯরকাশ করলেন অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী। সেইসঙ্গে এক মোহনবাগান 🌞এবং ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের লেখাও ভাগ করে নিলেন।
সোমবার ফেসবুক পোস্টে অভিনেত্রী বলেন, 'আমায় যাঁরা নিয়মিত ফলো করেন, তাঁরা জানেন আমি ইস্টবেঙ্গল। আর এও জানেন, বছরের পর বছর হেরো দলের💜 সমর্থক হওয়ার অভ্যেস আমার কতটা পোক্ত। এই বিষয়ে রবীন্দ্রনাথই (ঠাকুর) আমার শিরোধার্য যে পক্ষের পরাজয় সে পক্ষ ত্যাজিতে মোরে কোর না আহ্বান - কিন্তু এ বিষয়ে দুটো লেখা শেয়ার না করে পারলাম না।'
টেলি সিরিয়ালের জনপ্রিয় ‘জুন আন্টি’ জানান, অয়ন চক্রবর্তী নামে এক মোহনবাগান সমর্থকের পোস্ট তুলে ধরেছেন। ওই বাগান সমর্থক লিখেছেন, ‘খেলায় হারজিত, একে অপরকে দুয়ো ไদেওয়া, গালাগালিও, এসব তো মজা, স্বাভাবিক। কিন্তু এক পক্ষ যখন অন্য পক্ষকে রেশন কার্ড, কাঁটাতার, উদ্বাস্তু, রিফিউজি, পিঠে তারের দাগ, এনআরসি--- এইসব বলে তাচ্ছিল্য করার, অপমান করার, ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, তখন সেটা একেবারেই মজার থাকে না। কারণ এই ভাষা প্রতিপক্ষের নয়, এই ব্যাখ্যা রাষ্ট্রের।'
ওই মোহনবাগান সমর্থক আরও বলেন, 'একটা জাতির এক বিপুল সংখ্যক মানুষের নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে (চলে যান), সর্বস্ব ছেড়ে লুকিয়ে অন্যত্র বাধ্য হয়ে চলে যাওয়ার কষ্ট যার বুকে বাজে না, আমার কাছে সে বাঙালিও নয়, মানুষও নয়। এটা মজা নয়, অসভ্যতা। এই অসভ্যতার অপমান শুধু বা🐓ঙালদের কখনওই নয়♑, এই অপমান ইতিহাসবিস্মৃত বাঙালি জাতির।’
আরও পড়ুন: ATKM🌺B vs EB: ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ হারিয়ে টানা ৭ নম্ব♉র ডার্বি জিতল এটিকে মোহনবাগান
ঊষসীর পোস্টে এক ইস্টবেঙ্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚগলের সমর্থকের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। ওই ইস্টবেঙ্গল সমর্থক লেখেন, ‘কালকে যখন মাঠে যাচ্ছি তখন মোহনবাগান সমর্থকদের সরি এটিকে মোহনবাগান সমর্থকদের একটা গাড়ি থেকে আওয়াজ এল, রেশন কার্ড, আধার কার্ড, উদ্বাস্তু, এনআরসি। স্কুটির পিছনে আমার বাবা 🦩বসেছিল। যে লোকটা প্রথম আমায় পোস্টার লেখা শিখিয়েছিল। যে লোকটা আমায় জটাধারী পার্কের মিটিংয়ে কোলে করে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছিল, ওইটা জ্যোতিবাবু, ওইটা চিত্তব্রত মজুমদার। সেই লোকটা কালকে দত্তাবাদের সিগন্যালে বলল, শুনলি কী বলল? এনআরসি, রেশন কার্ড!’
আরও পড়ুন: উচ্ছ্বাসে ভাসার সময় আসেনি, ইস্টবে💫ঙ্গলকে হারিয়꧟ে একেবারে সটান জবাব ATKMB-র কোচ
ওই ইস্টবেঙ্গল সমর্থক আরও বলেছেন, ‘মজা করে বললাম, ভাল তো আবার ঢাকা বিক্রমপুরে চলে যাব। মেঘনা দেখব। পদ্মা দেখব। বাবা বলল, কী যেন একটা লিখেছিল ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি? আমি বললাম, রক্ত দিয়ে কেনা মাটি, কাগজ দিয়ে না। বাবা পিঠ চাপড়🎉ে দিল। তারপর আরও কয়েকটা সিগন্যাল ক্রস করে মাঠে। তারপর থেকে নানান মিম। তার মধ্যে অন্যতম লোকাল ট্রেনের কামরায় পোস্টার দেখা যাবে-গোপনে ইস্টবেঙ্গল ছাড়ান। যাঁরা এটা সার্কুলেট করলেন তাঁরা যে দল করেন তাঁরা গত এক দশক ধরে হারছেন ভোটে। কিন্তু ঝান্ডা ছাড়েননি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।