২০২৪ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের গ্রুপের সংখ্যা ছয়। গ্রুপ ‘এ’ হল- কাতার, চিন, তাজিকিস্তান এবং লেবানন। গ্রুপ ‘বি’ হল- অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান, সিরিয়া এবং ভারত। গ্রুপ ‘সি’ হল- ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, হংকং এবং প্যালেস্তাইন। গ্রুপ ‘ডি’ হল - জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক এবং ভিয়েতনাম। গ্রুপ ‘ই’ হল - দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জর্ডন এবং বাহারিন। গ্রুপ ‘এফ’ হল - সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, কিরঘিস্তান এবং ওমান। প্রতিটি গ্রুপ থেকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি সুযোগ পাওয়া দলের সংখ্যা দুই (গ্রুপের দুই সেরা দল)। আর সেরা তৃতীয় স্থানাধিকারী দলের জন্য নক-আউটে সুযোগ পাওয়া দলের সংখ্যা চার বলে জানানো হয়েছে।
এটি ভারতের পঞ্চম এএফসি এশিয়ান কাপ। এর আগে ১৯৬৪ সাল, ১৯৮৪ সাল, ২০১১ সাল এবং ২০১৯ সালে খেলেছিল ভারত। রানার্স-আপ হয়েছিল। সেটাই এশিয়ান ভারতের সেরা ফল ১৯৬৪ সালে। এই প্রথমবার এশিয়া কাপের পরপর দুটি সংস্করণে খেলছে ভারত। যে ভারত এশিয়ার ১৮ নম্বর দল। ভারতের গ্রুপে থাকা অস্ট্রেলিয়ার এশিয়া র্যাঙ্কিং চার। উজবেকিস্তানের এশিয়া র্যাঙ্কিং নয়। সিরিয়ার এশিয়া র্যাঙ্কিং ১৪।
সেই টুর্নামেন্টের আবহেই ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা-অর্জন প্রসঙ্গে ভারতের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী বলেন, 'যদি এই বছরও আমরা যোগ্যতা অর্জন না করতে পারি, তাহলে সম্ভবত এটাই আমার শেষবার হবে। তবে সত্যি বলতে গেলে এই বছর আমাদের কাছে একটা বড় সুযোগ রয়েছে। এই বছর আমাদের কাছে একটা ভালো সম্ভাবনা রয়েছে প্রথমবারের জন্য তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়ার। তবে একইসাথে আমি এটাও বলব যে আমি এই নিয়ে নিজের উপর কোন চাপ দিতে চাইছি না। যদি আমাদের তরফ থেকে কোন বড়সড়ো ♐ভুল না হয়, তাহলে কেউ আমাদের তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়া থেকে আটকাতে পারবে না। এই মুহূর্তে আমার দলের আমাকে🧸 প্রয়োজন।
অস্ট্রেলিয়া ধারেভারে অনেক এগিয়ে। কিন্তু ২০২৪ সালের এশিয়ান কাপের আগে পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের মধ্যে তিনটি ম্যাচ হয়েছে। ভারতের জয়ের সংখ্যা দুই। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সংখ্যা এক। অস্ট্রেলিয়ার গোলের সংখ্যা পাঁচ। ভারতের গোলের সংখ্যা ১১। ভারত এবং সিরিয়ার মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আছে ভারত। দুটি দলের মোট ম্যাচের সংখ্যা ছয়। তিনটি ম্যাচে জিতেছে ভারত। সিরিয়া একটি ম্যাচে জিতেছে। ভারত সাতটি গোল করেছে। সাতটি গোল করেছে সিরিয়া। দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
তবে উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে আছে ভারত। ভারত এবং উজবেকিস্তানের ম্যাচের সংখ্যা আট। ভারতের জেতা ম্যাচের সংখ্যা এক। উজবেকিস্তানের জেতা ম্যাচের সংখ্যা পাঁচ। ড্রয়ের সংখ্যা দুই। ভারতের গোলের সংখ্যা ছয়। উজবেকিস্তানের গোলের সংখ্যা ১৪।অস্ট্রেলিয়া ২০০৭ সাল এবং ২০১৯ সালের এএফসি কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল। ২০১১ সালে রানার্স-আপ হয়েছিল। ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ছ'বার এএফসি এশিয়ান কাপে খেলেছে সিরিয়া। প্রতিবারই প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে গিয়েছে। ২০০৪ সাল, ২০০৭ সাল এবং ২০১৫ সালে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল উজবেকিস্তান। আর ২০১১ সালে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাচ বলেন, ‘একটি দৈত্য অবশ্যই এখন তাঁর ঘুম থেকে উঠছে। আমি মনে করি এশিয়ার সেরা দশে প্রবেশ করতে আমাদের আরও চার বছর লাগবে। আমরা ড্র নিয়ে খুশি হওয়ার থেকে অনেক দূরে রয়েছি, তবে এটা সেটাই যেটা হও🐬য়ার ছিল।’ এএফসি এশিয়ান কাপের জন্য ভারতের দলে আছেন গুরুপ্রীত সিং সান্ধু, অমরিন্দর সিং, বিশাল কাইথ, আকাশ মিশ্র, লালচুংনুঙ্গা, মেহতাব সিং, নিখিল পূজারি, প্রীতম কোটাল, রাহুল বেকে, শুভাশিস বোস, সন্দেশ ঝিঙ্গান, অনিরুদ্ধ থাপা, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ, দীপক টাংরি, লালতে, লিস্টন কোলাসো, নাওরেম মহেশ সিং, সাহাল আবদুল সামাদ, সুরেশ সিং, উদান্ত সিং, সুনীল ছেত্রী, রাহুল কেপি, ইশান পণ্ডিতা, মনবীর সিং, ছাংতে, বিক্রম প্রতাপ সিং।
FAQ's
এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতের গ্রুপে থাকা কোন দলের র্যাঙ্কিং সবথেকে কম?
সিরিয়া। ফিফা র্যাঙ্কিং ৯১। এশিয়া র্যাঙ্কিং ১৪।
কোন দেশে হচ্ছে ২০২৪ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ?
২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারই হচ্ছে ২০২৪ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ।
১৯৬৪ সালের এএফসি কাপে ভারত যখন রানার্স-আপ হয়েছিল, তখন মোট কতগুলি দল ছিল?
১৯৬৪ সালের এএফসি কাপে মোট দলের সংখ্যা ছিল চার।
কবে কবে এশিয়ান কাপে খেলেছে ভারত?
১৯৬৪ সাল, ১৯৮৪ সাল, ২০১১ সাল, ২০১৯ সাল এবং ২০২৪ সালের এশিয়ান কাপে থেকেছে ভারত।