শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় ফুটবলে বিশেষ করে ঘরোয়া ফুটবলে রেফারিং নিয়ে ক্লাবগুলোর ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে যে রেফারিংয়ের মান পড়তির দিকে তা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এআইএফএফ নিজেও বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারে। সেই কারণেই সম্প্রতি এআইএফএফের সভাপতি কল্যান চৌবে স্বয়ং রেফারিদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও করেছেন। আইএসএলের চলতি মরশুমের ডার্বিতেও রেফারিং নিয়ে এক অভিযোগ অব্যাহত। তবে এবার একধাপ এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন মোহনবাগান কর্তা দেবাশিস দত্ত। তাঁর মতে ম্যাচ রেফারিকে সাসপেন্ড করা উচিত। ডার্বির গুরুত্♌ব যাতে মুছে যায় সেই কারণেই নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে এত খারাপ রেফারিং করা হয়েছে বলে বিতর্কিত মন্তব্য মোহন কর্তার।
সাংবাদিক বৈঠকে দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘এআইএফএফের তরফে অনেক কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সি সবের প্রতিফলন কাজে কিছু দেখছি না। মিটিং করা হচ্ছে। কিন্তু কাজে জিরো। রেফারিং নিয়ে যত কম কথা বলা যায় তত ভালো। এই ব্যক্তি (ডার্বির রেফারি রাহুল গুপ্ত) কয়েকদিন আগে একটি ম্যাচে অত্যন্ত খারাপ রেফারিং করল। তারপর ডার্বির মতন হাইভোল্টেজ ম্যাচে তাঁকে দেওয়া হল কেন আমি জানি না। আমরা কেউ ব্যাপারটা নিয়ে একেবারেই খুশি নয়। বাজে রেফারি, তাঁর রেফারিংয়ের জ্ঞান নেই। তা সত্ত্বেও ওকে বারবার ডার্বি পরিচালনা করতে দেওয়া হচ্ছে। কারণটা কী আমি ঠিক জানি না? ডার্বির গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়ার জন্য এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে বলে ও অনেকেই মনে করেন। আম🅠ি খুব অবাক, রেফারির মান দেখে।’
এখানেই থেমে থাকেননি দেবাশিস দত্ত। তিনি এরপর সরাসরি আক্রমণ করেছেন এআইএফএফের সভাপতি কল্যান চৌবেকে। তিনি বলেন, ‘এই প্রথম কোনও প্রাক্তন ফুটবলার এআইএফএফের সভাপতি হয়েছেন। শীর্ষপদে বসেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। ছবির কোন পরিবর্তন হয়নি। যেমনটা আগে ছিল তেমন রয়ে গিয়েছে। আইএসএলের প্রায় সব দল খারাপ রেফারিং নিয়ে বারবার অভিযোগ করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ওরা প্রচুর মিটিং করে। তবে হ্যা রেজাল্ট জিরো। একজন প্রাক্তন ফুটবলার শীর্ষে রয়েছেন। তাঁর কাছে আমার🎐 চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বেশি। তিনি কী করছেন? এখনও পর্যন্ত আমি তা দেখতেই পাইনি কোন উন্নতি। এই রেফারিকে নিষিদ্ধ করা উচিত। কোনও খেলাই দেওয়া উচিত নয়। রেফারিদের জন্য দরজা খোলা উচিত। প্রয়োজনে জেলা থেকে রেফারি তোলা উচিত। জেলায় অনেক ভালো রেফারি আছেন।’ বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, ‘প্রিয়দা ফেডারেশনের দায়িত্বে থাকার সময় বড় ম্যাচে বিদেশি রেফারি আনতেন। সেটাই করার পরামর্শ দেন আমি দেব কল্যাণকে (চৌবে)।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফুটবলাররা এত টাকা পেয়ে চাপের মধ্যে থাকছে। তাহলে রেফারিদের কেন চাপ দেওয়া হবে না? আমি কল্যাণ চৌবেকে অনুরোধ করব বড় পদক্ষেপ নিতে। যাতে ফুটবলপ্রেমী মানুষের আস্থা ফিরে আসে। সমর্থকরা অনেক টাকা খরচ করে। ম্যাচে রেফারি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ম্যাচের ফলাফল সবটাই ওদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। ফলে ওদের একটা ভুল সিদ্ধান্তে শেষ হয়ে যেতে পারে একটা ম্যাচ। এই দিকটা খেয়াল রাখতেই হবে। বিশেষ করে ডার্বির মতন হাই প্রোফাইল ম্যাচে রেফারিংয়ের মান ভালো হওয়া খুব প্রয়োজন।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।