জার্মানির পর ইউরো ২০২৪ থেকে বিদায় নিতে হল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালকেও। আর পর্তুগালের বিদায়ে ইউরোয় রোনাল্ডো যুগের অবসান হল। অনেকেই মনে করেছিল, শেষ ইউরোতে হয়তো রোনাল্ডোকে একেবারে অন্য ছন্দে পাওয়া যাবে। কিন্তু সিআরসেভেনকে সেভাবে জ্বলে উঠতেই দেখা গেল না। উল্টোদিকে ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপেও নেই নিজের চেনা ছন্দে। যার নিটফল, ম্যাচের নির্দিষ্ট সময় এবং অতিরিক্ত সময়ের ফল গোলশূন্য। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই পাঁচে পাঁচ📖 করে ফ্রান্স। পিছিয়ে পড়ে পর্তুগাল।
স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি সেভের হ্যাটট্রিক করে পর্তুগাল🐻কে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছিলেন দিয়েগো কোস্তা। কিন্তু এদিন আর তাঁর গ্লাভস♏ বাঁচাতে পারেনি রোনাল্ডোদের। শুক্রবার রাতে হ্যামবার্গে টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় ফ্রান্স। চোখের জলে বিদায় নিতে হল রোনাল্ডো, পেপেদের। ফ্রান্সের গোলদাতা ডেম্বেলে, ফোফানা, কুন্দে, বার্কোলা এবং থিও হার্নান্দেজ। পর্তুগালের হয়ে গোল করেন রোনাল্ডো, বার্নার্ডো সিলভা, নুনো মেন্ডিস। মিস করেন পর্তুগালের জোয়াও ফেলিক্স। তাঁর শট পোস্টে লাগে। আর এখানেই পিছিয়ে পড়ে পর্তুগিজরা।
হয় রোনাল্ডো, নয়তো কিলিয়♛ান এমবাপে- এক তারকার বিদায় এদিন নিশ্চিত ছিলই। ছিল আট বছর আগে ইউরোর ফাইনাল খেলা ফ্রান্স এবং পর্তুগালের মধ্যে নানা অঙ্কের হিসেবও। তবে টাইব্রেকারেই একশো শতাংশ সাফল্য পেয়ে সেমিতে পৌঁছে গেল দিไদিয়ের দেশঁর দল। ছিটকে গেল লুই ফিগোর পর্তুগাল।
স্পেন-জার্মানি ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে পৌঁছলেও, এদিন যতটা উপভোগ্য এবং গতিময় ছিল, ঠিক ততচাই বিবর্ণ, ম্যাড়ম্যাড়ে ছিল ফ্রান্স-পর্তুগাল ম্যাচ। গোটা ম্যাচে হাতেগোনা সুযোগ। তার মধ্যে নিশ্চিত সুযোগ বলতে দুই থেকে তিনটি। রোনাল্ডো, এমবাপে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন। এর মধ্যে আবার অতিরিক্ত সময়ের বিরতিতে নিজের আর্মব্যান্ড খুলে দেশঁর হাতে ধরিয়ে দেন এমবাপে। তিনি আর খেলার মতো অবস্থাতেই ছিলেন না। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আসলে মুখের ডানদিকে বল🍸 লেগেছিল ফ্রান্সের অধিনায়কের। নাক ধরে বেশ কিছুক্ষণ মাঠেই শুয়ে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এদিন ১০৫ মিনিট ফুটবল খেলার পরেই বেঞ্চে বসে নাকে আইস প্যাক ল൲াগাতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ইউরোতে অঘটন, ইতালিকে ছিটকে দিয়ে ইতিহাস সুইৎজারল্যান্ডের, পৌঁছে গেল কোয়ার্টা𒀰রে
প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই সেভাবে চাপে ফেলতে পারেনি একে অপরকে। ৪৫ মিনিটের উল্লেখযোগ্য আক্রমণ বলতে ২১ মিনিটে ফ্রান্সের থিও এর্নান্দেজের দূর থেকে নেওয়া শট, যা তেমন কোনও চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারেনি কোস্তাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও ছিল প্রথমার্ধের মতো। তবে ম্যাচের বয়স গড়ানোর সঙ্গে দু'টি দারুণ সুযোগ তৈরি করে পর্তুগাল। ৬২ মিনিটে জোয়াও কানসেলোর বাড়ানো বল ধরে ব্রুনো ফার্নান্দেজ পেনাল্টি বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শট নেন। তবে একটু আগেভাগে নেওয়া শটটি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন ফরাসি গোলকিপার মাইগনান। দুই মিনিট বাদে ভিটিনহার সোজাসুজি নেওয়া শটও প্রতিহত হয় তাঁর হাতে। ফিরতি বল রোনাল্ডো পান পোস্টের এক পাশে, পায়ের টোকায় জালে পাঠাতে চাইলেও, সেটাও কিপারের গায়ে লেগে বা🌃ধাপ্রাপ্ত হয়।
পর্তুগালের জোড়া সুযোগের পর গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে ফ্রান্সও। ৬৬ মিনিটে কোলো মুয়ানি একা পেয়ে যান কোস্তাকে। কিন্তু কার্যকরী কিছু করে উঠতে পারেননি। বল পর্তুগাল ফুটবলারের গায়ে লেগে পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে বের হয়ে যায়। এর পাঁচ মিনিট পর এডুয়ার্দো কামাভিঙ্গার সামনেও বাধা ছিল শুধু পর্তুগাল গোলকিপার। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে তিনিও বল পাঠান বাইরে। দুই দলের এই মিনিট দশেকের তেড়েফুড়ে আক্রমণ বাদ দিলে,ꦅ বাকি সময়টা রক্ষণ সামলে ম্যাড়ম্যাড়ে ফুটবলই খেলেছে ফ্রান্স এবং পর্তুগাল। আর কোনও বড় সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই।
আরও পড়ুন: 🅠গোল বাতিল, বৃষ্টি-বজ্রপাতে খেলা বন্ধ, সব কিছু ছাপিয়ে ২-০ জিতে শেষ আটে জার্মানি, বিদায় নিল ডেꦆনমার্ক
মূলত ফাইনাল থার্ডে ব্যর্থতাই দায়ী এর জন্য। এদিন নিজেদের সেরার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি দুই দল। গোটা ১২০ মিনিট রোনাল্ডোকে কার্যত বয়ে বেড়ানো হয়েছে। শেষ মিনিটে এমবাপের নির্বিষ শট তালুবন্দি করেন কোস্তা। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে সুযোগ ছিল পর্তুগালের সামনে। কিন্তু ম্যাচের ৯৩ মিনিটে কনসেসাওয়ের পাস থেকে মিস রোনাল্ডোর। সামনে একা ফরাসি গোলকিপার মাইগনানকে পেয়েও বক্সের উপর দিয়ে ভাসিয়ে দেনཧ তিনি। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে পর্꧙তুগালের নুনো মেন্দেজ এবং পাল্টা আক্রমণে ফ্রান্সের নেলসন সেমেদো যে সুযোগ পান, অন্য কোনও স্ট্রাইকার থাকলে গোল হয়েও যেতে পারত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।